কলকাতা: ২৫ নভেম্বর রাজ্যে তিন কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন৷ নদিয়ার করিমপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগুঞ্জ৷ অনেকেই বলছেন, এই উপনির্বাচনের আঁচ অনেক বেশি৷ কারণ, ২০২১ সালের মহা গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি ‘ওয়ার্ম আপ’ ম্যাচ৷
পলিটিকাল স্ট্রাটেজিষ্ট প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলে উঠতে চাইছে তৃণমূল৷ অন্যদিকে, বিজেপি চ্যালেঞ্জের ভূমিকায়৷ ১৮টি আসন দখল করে কড়া চ্যালেঞ্জ করেছে তৃণমূলকে৷ অন্যদিকে, ভোটের ময়দানে বামেদের ‘ঐতিহাসিক হার’ হয়েছে৷ কংগ্রেস কিছুটা সাহায্য করবে বামেদের৷ করিমপুরে বাম প্রার্থীকে সমর্থন করবে কংগ্রেস৷ কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর কেন্দ্রে বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন করবে৷
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা এই বিধানসভা কেন্দ্রটিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিচার করলে দেখা যাবে যে, তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হুমায়ুন কবীরের তুলনায় ১৪৩৪০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ আবু তাহের পেয়েছিলেন ৮৭৫১৩ টি ভোট৷ অন্যদিকে, হুমায়ুন কবীর পেয়েছিলেন ৭৩১৭৩ টি ভোট৷ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান এই কেন্দ্রে মাত্র ১৭৬০৯ টি ভোট পেয়েছিলেন৷ অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনা পেয়েছিলেন ২২০৯৭ টি ভোট৷
করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি খালি হয়ে যায়, কারণ এই কেন্দ্রের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়েছেন৷ এই৷ কেন্দ্রে বিজেপি ৭৩ হাজার ভোট পেয়েছে, তা ধরেই তারা এগিয়ে চলতে চান৷ অন্যদিকে, খেয়াল করার মত বিষয়, এই কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজার নোটা ভোট পড়েছে৷ অনেকেই বলছেন হিন্দু ভোটার বিজেপির প্রার্থী হিসেবে হুমায়ুন কবীরকে মেনে নিতে পারেনি৷ তাঁরা নোটা তে ভোট দিয়েছে৷
খড়গপুর সদরে লড়াই দিলীপ ঘোষ বনাম রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর৷ এই কেন্দ্রে দিলীপ বিধায়ক ছিলেন৷ তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ হওয়ার পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে৷ অধিকারীদের রাজত্ব মেদিনীপুর৷ সেখানে লোকসভার বিচারে অবশ্য বিজেপি এগিয়ে৷ কালিয়াগুঞ্জ কেন্দ্রে লোকসভার বিচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি৷ কারণ, রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী সংসদে গিয়েছেন৷ তিনি এখন মন্ত্রী৷ এই কেন্দ্রেও জেতার ব্যাপারে আত্ম বিশ্বাসী বিজেপি৷