দূষণ নিয়ন্ত্রণে পর্ষদের ভরসা সেই পুরোনো পন্থা, আদৌ মিলবে সমাধান?

কলকাতা: রাজধানীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কলকাতা সহ এরাজ্যেও দূষণের পাল্লা ভারী৷ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত পুরোনো পন্থাকেই অবলম্বন করে লড়াইয়ে নামল রাজ্য৷ শুক্রবার থেকে কলকাতা শহরের রাস্তায় শুরু হয়েছে পর্ষদের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি৷ রাস্তায় জল ছেটানোর কাজে আনা হয়েছে ১০টি গাড়ি৷ পাশাপাশি বাতাসের বিষ মারতে এবার ৩টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলারও ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এর

দূষণ নিয়ন্ত্রণে পর্ষদের ভরসা সেই পুরোনো পন্থা, আদৌ মিলবে সমাধান?

কলকাতা: রাজধানীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কলকাতা সহ এরাজ্যেও দূষণের পাল্লা ভারী৷ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত পুরোনো পন্থাকেই অবলম্বন করে লড়াইয়ে নামল রাজ্য৷ শুক্রবার থেকে কলকাতা শহরের রাস্তায় শুরু হয়েছে পর্ষদের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি৷ রাস্তায় জল ছেটানোর কাজে আনা হয়েছে ১০টি গাড়ি৷ পাশাপাশি বাতাসের বিষ মারতে এবার ৩টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলারও ব্যবহার করা হচ্ছে৷

এর জন্য জলে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে৷ জলে রাসায়নিক হিসাবে ব্যবহৃত সোডিয়াম লিগনোসালফোনেট পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই রাসায়নিক শরীরের পক্ষে নিরাপদ কি না তা যাচাই করতে রাজ্য পরিবেশ দপ্তর, পর্ষদ এবং ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) যৌথ উদ্যোগে দু’দিনের একটি ওয়ার্কশপও করা হয়৷ তবে ন্যাশনাল টেস্টহাউস ও লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টক্সিকোলজি আগেই জানিয়েছিল যে, এতে এমন কোনও বিষ নেই যা শরীরের ক্ষতি করে৷

আপাতত শহরের ১২টি রাস্তায় জল ছিটিয়ে ধুলো মারার ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ৷ এক একটি গাড়ি প্রতিদিন গড়ে ৫০ কিলোমিটার রাস্তায় জল ছেটাতে পারবে৷ সেই হিসেবে আরও গাড়ি আনার পরিকল্পনা আছে পর্ষদের৷ যে রাস্তাগুলিতে জল ছেটানো হবে সেগুলি হল বিমানবন্দর থেকে ইএম বাইপাস হয়ে রুবি হাসপাতাল মোড়, চেতলা, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে বাঁশদ্রোণি-গড়িয়া, রাসবিহারী-টালিগঞ্জ হয়ে মোমিনপুর, তারাতলা-হাইড রোড থেকে বেহালা, ঠাকুরপুকুর, শ্যামবাজার-কলেজ স্ট্রিট থেকে এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড, শ্যামবাজার-শিয়ালদহ হয়ে বেকবাগান-এক্সাইড মোড়, বিবাদী বাগ-এসপ্ল্যানেড হয়ে ভবানীপুর-হাজরা মোড়, বেলেঘাটা-শিয়ালদহ হয়ে বড়বাজার, স্ট্র্যান্ড রোড, ডানলপ থেকে চিড়িয়ামোড়, পাইকপাড়া, আরজি কর রোড, দমদম, গড়িয়া থেকে গোলপার্ক হয়ে রাসবিহারী-গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে শ্যামবাজার এবং চিংড়িহাটা থেকে নিউ টাউন৷

এই জায়গাগুলিতে সকাল এবং বিকেলের দিকে এক বার করে দিনে মোট দুবার জল ছেটানোর কাজ করবে পর্ষদ৷ এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে গঙ্গার জল বা দমকলের জন্য ব্যবহৃত জল৷ দিল্লির থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণে পর্ষদের এই আগাম পদক্ষেপ কতটা ফলপ্রসূ হয় এখন সেটাই দেখার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 8 =