করোনা রুখতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরাই ডোবাচ্ছে মোদিকে? উঠছে গুরুতর অভিযোগ!

করোনা রুখতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরাই ডোবাচ্ছে মোদিকে? উঠছে গুরুতর অভিযোগ!

নয়াদিল্লি: বিজেপি শাসিত বিভিন্ন প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যর্থতা চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সাফল্যের সরণিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরা কাজ করতে পারছেন কী? প্রশ্ন উঠেছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সংবাদ শিরোনামে আশা মুখ্যমন্ত্রীরা প্রায় সকলেই অবিজেপি রাজ্যগুলি থেকে উঠে এসেছেন। যেমন, কেরলে পিনরাই বিজয়ন, মহারাষ্ট্রে উদ্ভব ঠাকরে, পঞ্জাবে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, রাজস্থানে অশোক গেহলত, ছত্তিশগড়ে ভূপেশ বাঘেল এবং তামিলনাড়ুর পালানিস্বামী। অসমের সর্বানন্দ সনওয়াল এবং হরিয়ানার মনোহরলাল খাত্তার কিছুটা মুখ রেখেছেন মোদির৷

মনে রাখতে হবে, কোভিদের সংক্রমণ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা বিচার করলে হবে না। বরং, মুখ্যমন্ত্রীরা সংকট পরিস্থিতিতে কত দ্রুত কার্যকর হচ্ছেন, তাই দ্রষ্টব্য৷ যদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই কম বেশি খুশি যে তিনি নিজের স্বর্গীয়  পিতার শেষকৃত্যে সকলকে আসার অনুমতি দেননি। কারণ, রাজ্যের ২৩ কোটি মানুষের বড় রকমের ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু, রাজ্যে টেস্ট বা পরীক্ষার প্রশ্নে অনেকেই যোগীকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন এই মাত্র কয়েকদিন, উত্তরপ্রদেশে টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে।

যদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই কম বেশি খুশি যে তিনি নিজের স্বর্গীয়  পিতার শেষকৃত্যে সকলকে আসার অনুমতি দেননি। কারণ, রাজ্যের ২৩ কোটি মানুষের বড় রকমের ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু, রাজ্যে টেস্ট বা পরীক্ষার প্রশ্নে অনেকেই যোগীকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন এই মাত্র কয়েকদিন, উত্তরপ্রদেশে টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মত জনবহুল রাজ্যে প্রতি মিলিয়ন জানতায় টেস্টের সংখ্যা জাতীয় গড়ের কম ছিল।

যোগীর 'আগ্রা মডেল' দাঁড়ায় নি। বর্তমানে, সংক্রমণের মাঝে সাম্প্রদায়িতকার ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে যোগীত বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, লক্ষনৌ-এর হটস্পট এর নামকরা নাকি তিনি মসজিদের নাম অনুসারে করেছেন। মধ্যপ্রদেশেও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ উয়েছে মুখ্যমন্ত্রী শিবনাথ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে। গুজরাটে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিল মারাত্মক। অভিযোগ, কোভিড-১৯ নিয়ে তৈরি হওয়ার বদলে গুজরাট প্রশাসন 'নামস্তে ট্রাম্প' আয়োজনে ব্যস্ত ছিল। কারণ, সেই সময় থেকেই বিশ্বে কোভিদের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা শুরুটা খারাপ করেননি। কিন্তু, তাল কেটে যায় তার পরেই। এক মন্ত্রীর মেয়ের বিয়ের বিশাল আয়োজন করা হয়। এক বিজেপি এম এল এ-র ছেলের বিয়েতে নিজেই যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী'র ছেলের বিয়ের অনুমতি দেয় ইয়েদুরাপ্পা প্রশাসন। এর মাঝেই কেরলের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে কর্ণাটক।

বিহারে বিজেপি এমপি'রা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রলহাদ জোশিরকে খোলাখুলি রাগ জাহির করেন। কারণ, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমাত কোভিড-১৯ নিয়ে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। সারা ভারতে ছড়িয়ে থাকা বিহারী শ্রমিক এবং ছাত্রদের ফিরিয়ে নিতে নীতিশ কিছু করছেন না, যা এন ডি এ-তে খারাপ প্রভাব ফেলছে বলে নিজেই মনে করে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *