কলকাতা: বিজেপিতে সম্মান শোভন চট্টোপাধ্যায় সম্মান পাননি এমন নয়৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টি কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের রাজনৈতিক কেরিয়ার দেখে উচ্ছাসিত হয়েছে৷ কিন্তু, শোভনকে সদরে আমন্ত্রণ জানালেও বারবার ‘বৈশাখী মোড়ে’ আসে ট্রাফিক জ্যামে বিজেপির রথের চাকা আটকে গিয়েছে৷
৪০ বছরের বেশি রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শোভনের৷ কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের শুরু থেকেই ছিলেন তিনি৷ দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা কিংবা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা বারবারই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কৃতিত্ব সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল৷ কিন্তু, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি কীভাবে কাজে লাগবে তা নিয়ে বিজেপির মধ্যে নানান মত উঠে আসে৷ বলাই যেতে পারে, শিক্ষা জগতের মানুষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির একটি অংশ প্লাটফর্ম দিতে চায়নি৷ বাংলা এবং ইংরেজিতে সুবক্তা বৈশাখীকে সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি৷ তবে, উল্টোদিকে এই অভিযোগ রয়েছে যে, বৈশাখীর দিক থেকেও দাম্ভিকতার প্রকাশ পেয়েছে৷
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ শোভন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছিলেন, উনি কি ভাবছেন আলোচনা করা হবে৷ কথা হবে৷ উনি৷ বড় নেতা৷ তবে শোভন-বৈশাখী ‘ডাল ও ভাত’ বলে প্রথম দিলীপ ঘোষই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন৷
কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘বান্ধবী’ অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের জোর আলোচনা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছে৷ লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই যোগদান পর্ব হতে পারে, অনেকেই বলছিলেন৷ তবে তা হয় নি৷ শোভন নিজেই তাঁর যোগদান নিয়ে আলো-আধারি তৈরি করে রেখেছিলেন৷ কিন্তু অগস্ট মাসে যখন এসেছিলেন তখন তিনি তৃণমূলের ভোটলুঠ কেই দল ছাড়ার জন্য দায়ী করেন৷ বলেছিলেন, অনৈতিক ভোটলুঠ প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি৷
তবে ২৯ অক্টোবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ফিরে গিয়েচেন শোভন৷ বেরিয়ে বলেছেন, রাজনীতি নয় ভাইফোঁটা হয়েছে৷ শোভনের বৈশাখী মোড় দিয়েই কি শোভনের ‘ঘর ওয়াপাসি’ হইতে পারে? জল্পনা শুরু হয়েছে৷