কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে কালো টাকা উদ্ধার করা নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ছিল। সেই মতো কমিশন থেকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আয়কর দপ্তরকে। আয়কর দপ্তর এর জন্য একটি বিশেষ টিম তৈরি করে। ১০ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর কমিশনও টাকা উদ্ধারের জন্য একটি ফ্লাইং স্কোয়াড টিম তৈরি করে। সেই টিমে পুলিস ও সরকারি আধিকারিকরা রয়েছেন। ১১ মার্চ থেকে ওই দু’টি টিম কাজ শুরু করে।
রবিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। তার আগে শুক্রবার পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬৬.৮৩ কোটি অর্থাৎ প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে আয়কর দপ্তর বাজেয়াপ্ত করে ৫২.৯৫ কোটি টাকা। আর পুলিস বাজেয়াপ্ত করে ১৩.৮৮ কোটি টাকা। যা অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আজ, শনিবারও তল্লাশি চলবে। এবারের নির্বাচনে প্রচার ও আড়ম্বরের বহর দেখে বোঝাই যাচ্ছে, প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৯.৮৮ কোটি টাকা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তার থেকে সাত গুণ বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৭.৮০ কোটি টাকা। এবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই সংস্কৃতি ছিল না। এত টাকা উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশে সপ্তম দফার আগে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হারে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনে জোরদার তল্লাশি চালাতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তার সুফলও পেয়েছে পুলিস। আসানসোলে এক কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। ধৃতদের মধ্যে একজনকে টিভি চ্যানেলে বলতে শোনা গিয়েছে, এটা পার্টির টাকা। বৃহস্পতিবার জয়নগর বকুলতলা থেকে বিজেপির এক নেত্রীর কাছ থেকে ২৪ লক্ষ টাকার বেশি উদ্ধার হয়েছে। যা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।