নিজে নিজেই এত চাপ নিয়েছেন শুভেন্দু, শেষরক্ষা করতে পারবেন তো?

নিজে নিজেই এত চাপ নিয়েছেন শুভেন্দু, শেষরক্ষা করতে পারবেন তো?

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের অজান্তেই কী তিনি এক পাহাড় প্রমাণ চাপ কাঁধে তুলে নিয়েছেন? শুভেন্দু অধিকারীর পদক্ষেপ দেখে এমন চর্চাই শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনা হল লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এবার যারা বিজেপির প্রার্থী হয়েছে তাঁদের বড় অংশের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর, এমনটাই খবর। এবার প্রার্থীদের বড় অংশকে শুভেন্দুর আবেদনের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, বিজেপি সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।

রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র বদলের ক্ষেত্রেও নাকি শুভেন্দুর হাত রয়েছে বলে বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়। যে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই কারও নাম না করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিলীপ। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে রেখা পাত্রের মতো এক গ্রামবাসীকে প্রার্থী করার পিছনেও শুভেন্দুর তৎপরতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি তমলুকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, মেদিনীপুর কেন্দ্রে অগ্নিমিত্রা পাল, বারাকপুরে অর্জুন সিং, ঘাটালে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই লোকসভায় প্রার্থী হয়েছেন শুভেন্দুর তৎপরতায়, এমনটাই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, অর্জুন সিংকে নাকি দলে নিতেই কিঞ্চিত আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু শুভেন্দুর জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে সুকান্ত তথা অন্যান্য নেতৃত্বকে। তাই এটা স্পষ্ট শুভেন্দু নিজের ইচ্ছাতেই এই প্রবল চাপ নিয়ে ফেলেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সুপারিশে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের জিতিয়ে আনার মূল দায়িত্ব তো তাঁকেই নিতে হবে। সেটা না হলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুখ পুড়বে বিরোধী দলনেতার। অর্থাৎ ফলাফল খারাপ হলে এক দিকে রাজ্য বিজেপির বিরোধী গোষ্ঠীর কাছে ‘ফেসলস’, অন্যদিকে শুভেন্দুর এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার জন্য তৈরি থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বলাবাহুল্য এটা একটা পাহাড় প্রমাণ বোঝা। সেই চাপ নিতে হয়েছে শুভেন্দুকে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী শুভেন্দু নিজের দায়িত্ব ও ফলাফল নিয়ে এতটাই নিশ্চিত যে এত বড় চাপ নিয়ে ফেলেছেন? তিনি ভাল করেই জানেন ফলাফল খারাপ হলে তার সিংহভাগ দায় তাঁকেই নিতে হবে। এরপরেও সেই চাপ নিয়েছেন তিনি। সেই সূত্রে এটাও স্পষ্ট যে বাংলায় বিজেপির ফল গতবারের থেকে ভাল হলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আরও কাছের মানুষ হয়ে উঠবেন শুভেন্দু। শেষমেশ শুভেন্দু কতটা সফল হবেন তা বোঝা যাবে ৪ জুন ফল প্রকাশের দিনেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *