রাজ্যে অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হবে! বড় ‘ধামাকা’র কথা বোঝালেন শুভেন্দু?

রাজ্যে অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হবে! বড় ‘ধামাকা’র কথা বোঝালেন শুভেন্দু?

নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার রাতে হঠাৎই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সকালে পরপর বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের সঙ্গে। এরপর সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন,”যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বাইরে কিছু বলব না। শুধু আপনাদের অ্যাকশন আর রি-অ্যাকশনে নজর রাখতে হবে।” স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি শীঘ্রই রাজ্যে বড় ‘ধামাকা’ দেখা যাবে? একাধিক প্রভাবশালী এবার গ্রেফতার হবেন? এমন কোনও পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র যাতে তৃণমূলের অস্বস্তি রাতারাতি বহু গুণে বেড়ে যাবে? এমন নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে।

বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় প্রভাবশালীদের কেন গ্রেফতার করছে না সিবিআই এবং ইডি, এই প্রশ্ন বহুদিন ধরে তুলছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে বহুবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। শোনা যায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নাকি রাজ্য নেতৃত্ব  একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। যদিও তাতে তথাকথিত প্রভাবশালী এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে যেভাবে ‘অ্যাকশন’ ও ‘রিঅ্যাকশন’ শব্দ ব্যবহার করেছেন তাতে নতুন করে ‘খেলা’ জমে যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে আম জনতার মধ্যে। 

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্য বিজেপিকে ৩৫টি আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা বহু আগেই ঠিক করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সদ্য লোকসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্য বিজেপির ২০ জনের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তালিকায় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য একটি নাম হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। বহুদিন ধরেই রাজ্যে বিরোধী রাজনীতির ‘ভরকেন্দ্র’ হিসেবে শুভেন্দুকে দেখা যাচ্ছে। যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু, তা সাম্প্রতিক কালে কোনও বিরোধী নেতাকে করতে দেখা যায়নি। বলা যায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তিনি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব শুভেন্দুকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে দু’বার ভাবেন না। তাই শুভেন্দুর হঠাৎ দিল্লি যাত্রা এবং শাহ ও নির্মলার সঙ্গে তাঁর বৈঠককে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাব বঙ্গ রাজনীতিতে আগামী দিনে পড়ে কিনা এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *