কলকাতা: দলের মধ্যেই গদ্দার রয়েছে। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করতে বসে তা টের পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে আনুগত্য দেখালেও তলায় তলায় বিজেপিকে সহযোগিতা করছেন কেউ কেউ। জনাকয়েক নেতা-মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনা করতে বসে তৃণমূল নেত্রী নিজেই তা জানিয়েছেন। নেতৃত্বের দাবি, এসংক্রান্ত নির্দিষ্ট তথ্য আসতে শুরু করেছে। তবে গদ্দার ধরার নামে ঘরোয়া কোন্দল যে মাথাচাড়া দিতে পারে, সেই আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। তাই ‘গদ্দার’দের চিহ্নিতকরণের আগে সতর্ক থাকতে হচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বকে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের এক প্রতিনিধি ফোন করে বনগাঁ লোকসভা এলাকার এক বিধায়ক সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই বিধায়ক নাকি ভোটের আগে থেকেই পদ্ম শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ভোটে তাদের হয়েই গোপন অপারেশন চালিয়েছেন।
এই লোকসভা আসনে স্বরূপনগর ছাড়া বাকি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপির কাছে পিছিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ফোনের উদ্দেশ্য, কথাটা যাতে জায়গামতো পৌঁছে যায়। অর্থাৎ এই চোরাগোপ্তা গেরুয়া স্রোত বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভোটের ফল উল্টে দিয়েছে বলেই তাঁর দাবি। কোনও ক্ষেত্রে তৃণমূল জিতলেও ব্যবধান অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু উঁচুতলা পর্যন্ত এই ‘খবর’ পৌঁছে দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। পাছে তাঁকেই না ‘গদ্দার’ ঠাওড়ে বসে উচ্চতর নেতৃত্ব। তাই এই গোপন ফোন। এই সব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।