কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ দেশদ্রোহীদের উৎপাত বাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়৷ পাকিস্তানের মতো এবার যাদবপুরের ঢুকে কমিউনিস্টদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর দাবি, উপাচার্যের মদতে যাদবপুরে উগ্রপন্থীদের আখড়া হয়েছে৷ গতকালের ঘটনার জন্য উপাচার্যের উচিত ছিল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আগে পদত্যাগ করা৷
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা বলছে, ওখানে ইউনিয়ন অফিস ভাঙা হয়েছে, তাঁদের বলছি, ওখানে আবার ভাঙা হবে৷ ওটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷ ইন্ডিয়ান রুম বন্ধ করা উচিত৷ যেখান থেকে দেশদ্রোহীরা উৎপাত করছে, যেখানে সমাজবিরোধী হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এইরকম ইউনিভার্সিটি থাকার অধিকার নেই৷ যেমন আমরা পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে জঙ্গিদে ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছি, দরকার হলে তেমনই যাদবপুর থেকে কমিউনিস্টদের ঘাঁটি আমরা তুলে দেব৷ এটা চলতে পারে না৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ধরনের দেশ বিরোধী কাজ চলতে পারে না৷ ওখানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে৷ পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা হচ্ছে৷’’
আরও লেন, ‘‘আচার্য ক্যাম্পাসে যাবেন, তাতেও কি অনুমতি লাগবে? অসুস্থতার ভান করছেন উপাচার্য৷ উপাচার্যের ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল৷ পার্থর আমলে শিক্ষা কেন্দ্রগুলি রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে৷ আমাকে মারলে কী ওষুধ দিতে হয়, জানি৷ শিল্পীদের উপর হামলা হচ্ছে৷ বাংলায় কী হচ্ছে এসব? ভদ্রলোকেরা কি রাজনীতিতে আসবেন না? রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা আজ ভেঙে পড়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে৷ কোনও ভাবেই পিঠ বাঁচানোর জায়গা নেই৷ কাপুরুষতা বরদাশ্ত করা হবে না৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেনস্থা করা হল কেন? বাবুলকে চুলের মুঠি ধরে টেনেছে সে যাদবপুরের ছাত্র নয়৷’’