কলকাতা: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে সোমবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪০ সেনা জওয়ানের নিহত হওয়ার ঘটনায় মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার এয়ারস্ট্রাইকের পরেই অভিনন্দন জানালেন মমতা। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারকে নয়, তিনি সরাসরি সাবাশি জানিয়েছেন বায়ু সেনাকে।
মঙ্গলবার, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আইএএফ-এর অর্থ ইন্ডিয়াজ অ্যামেজিং ফাইটার্স, জয় হিন্দ৷
IAF also means India’s Amazing Fighters. Jai Hind
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 26, 2019
মঙ্গলবার ভোরে পুলওয়ামা হামলার বদলা নিল ভারত৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ১২টি মিরাজ হামলা চালায়। পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ ঠিক কোন অস্ত্রে পাকিস্তানকে ঘায়েল করল ভারতীয় বায়ু সেনা?
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, বালাকোট, চাকোতি এবং মুজফ্ফরাবাদে জয়েশ জঙ্গিদের তিনটি লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২টি মিরাজ যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। সীমান্ত পেরিয়ে ৮০ কিমি ভিতরে ঢুকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালানো হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। ঘটনায় প্রায় ২০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অতর্কিত এই সফল অভিযান চালিয়ে ১২টি যুদ্ধবিমানই ভারতের আদমপুর বায়ুসেনাঘাঁটিতে ফিরে আসে।
শোনা যাচ্ছে হামলার পরই পাকিস্তানের দিক লক্ষ্য করে মিসাইল প্রস্তুত রেখেছে ভারতীয় সেনা। আম্বালা, পাঠানকোট, হালওয়ারা বিমানঘাঁটিতে মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯ এবং সুখোই ৩০-কে তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত বায়ুসেনাঘাঁটিকে মিসাইল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।
জানা গিয়েছে, বালাকোট সেক্টর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলি। জয়েশ জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার গাইডেড হামলা করা হয়। এর ফলে লক্ষ্যবস্তুতে নিঁখুতভাবে হামলা চালানো সম্ভব। শোনা যাচ্ছে হামলার জেরে পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করা হয়েছে।