কাজকম্ম নেই, মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ বসে! অনেক হয়েছে আর না: সুজন

কাজকম্ম নেই, মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ বসে! অনেক হয়েছে আর না: সুজন

কলকাতা: ভিনরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দা, শ্রমিক, ছাত্রদের ফেরাতে রাজ্য সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ, মন্তব্য করেছেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, এনাফ ইজ এনাফ। সোয়া মাস, দেড় মাস হয়ে গেল চুপটি করে বসে আছেন। কোনও কাজ কর্ম নেই। অপদার্থটার চূড়ান্ত হচ্ছে আমাদের রাজ্যে।’’

সুজন বলেন, “আমাদের রাজ্যের বহু মানুষ বাইরে আছেন। ছাত্রছাত্রীরা, শ্রমিকরা অন্যরাজ্যে আছেন। শ্রমিকরা দিল্লি, মুম্বইতে আছেন। অন্য রাজ্যের কাছে তাঁরা পরিযায়ী হতে পারেন। কিন্তু, তারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। পশ্চিমবাংলার কাজের সুযোগ নেই বলেই তাঁরা অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু, তাঁদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন কেন? এটা রাজ্যের অপদার্থতা। ওদের দোষ নয়।’’

‘‘কোটায় ছাত্রদের ফিরিয়ে আনতে হবে, এতদিন ধরে বলতে হল। কবে, মুখ্যমন্ত্রীর হ্যা হবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেন। গুন্তুরে প্রায় শ'খানেক ছেলে মেয়ে। নার্সিং পড়তে গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, গোয়াতে ছেলেমেয়েরা রয়েছে। অনেকেই চিকিৎসা করতে গিয়েছেন। আটকে আছেন। ২২, ২৪, ২৬ মার্চ সব টিকিট ছিল। চার ঘন্টার নোটিসে লকডাউন করেছে দিল্লি, ২৩ তারিখ লকডাউন করেছে রাজ্য সরকার। ওই মানুষগুলি কী করবে?’’ প্রশ্ন সুজনের।

সুজনের কথায়, “বিভিন্ন রাজ্য তাদের লোকজন ফিরিয়ে নিচ্ছে। প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকে আমরা বলেছিলাম, রাজ্য ফিরতিদের nodal officer ঠিক করে দেওয়া হোক। স্পেশাল টিম করা হোক। হেল্পলাইন করা হোক। দেড়মাস লেগে গেল মুখ্যমন্ত্রীর হ্যা বা না বলতে। আমরা অনেক আগে থেকেই বলছিলাম হেল্প লাইন করে দিন, মানুষ কোথায় কোন বিপদে আছে জানাক। ওরা রাজ্যের মানুষ, নূন্যতম দায়িত্ব আছে তো। কিন্তু, সরকার একদম চুপ!”

সুজন বলেন, “আজ পর্যন্ত ৬৪ ভাগ পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে সরকারের সাহায্য পৌঁছায়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে কতবার বলতে হবে। চিঠি দেওয়া হয়েছে। দিল্লির সরকারকে ট্রেন দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যে গাইডলাইন দিয়েছে তা দিয়েই টেস্টিং হোক। টেস্ট করেই তাদের বাড়িতে আনা হোক। রাজ্য সরকারের এই অপদার্থটা মেনে নেওয়া যায় না। লোকে খাওয়া দিতে পারছে না, পয়সা দিতে পারছে না, প্রচেষ্টা প্রকল্প স্থগিত। হাসপাতাল চিকিৎসা ১২ টা বাজিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, অনেক হয়েছে আর না।”

“রাজ্যপাল মশাইকে বলব, অন্য অনেক বিষয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ট্রেনের ব্যবস্থা করুন। দরকার হলে চিঠি দেব আপনাকে। বাইরের রাজ্যে যে সব মানুষ আটকে আছে তাদের ফেরাতে কি সাহায্য করতে পারেন, that will be interest of the state।’’ মন্তব্য সুজনের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *