আসানসোল: ফের বেলাগাম বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ তৃণমূল প্রার্থীকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুনমুন সেনের মা টেনে আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ মুনমুনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো থাকলে রাজনীতির ময়দানে তা পৌঁছে গে ব্যক্তিগত আক্রমে৷
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুনমুন প্রসঙ্গে বাবুলের মন্তব্য, ‘‘প্রাথমিকভাবে আমি ভেবেছিলাম, যেহেতু উনি বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন ও সুচিত্রা সেনের মতো এক অভিজাত অভিনেত্রীর কন্যা, তাই ব্যক্তিগত আক্রমণের কাদা ছেটানোর প্রক্রিয়াটি থেকে নিজেকে দূরে রাখব৷ কিন্তু, গত দিন দশেক ধরে তিনি যা যা বলে চলেছেন, আমি জানি, তা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সময় কাটানোরই প্রভাব। আমার মনে হয়েছিল, এটা হতে পারে। কিন্তু, এত দ্রুত হবে, সেটা ভাবতে পারিনি৷’’
কথা বলার সময় অত্যন্ত ক্লান্ত মনে হচ্ছিল বাবুলকে৷ তিনি জানান, গত কয়েকটি রাত তিনি সাকুল্যে ঘণ্টা আড়াইয়ের বেশি ঘুমোননি। এত প্রবল ব্যস্ততার মধ্যে দু’চোখের পাতা এক করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। বাবুল বলেন, ‘‘দেখুন, আমি কখনওই নোংরা রাজনীতি করতে চাই না। ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না, এটা আমি রাজনীতিতে পা রাখার সময়ই ঠিক করে নিয়েছিলাম৷’’
কিন্তু, এর পরই বিস্ফোরক মন্তব্য কবে বসেন বাবুল৷ বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়াতে যে জোকসগুলি ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেগুলি দেখলেই বুঝবেন। উনি আমাদের দলের কর্মীদের বলছেন, বিহার পুলিশের চর। যারা দিনরাত এক করে দলের জন্য খেটে চলেছে, তাদের প্রতি এই মন্তব্য মানা যায় না। নিজের প্রয়াত মা’কে টেনে আনছেন ভোট চাওয়ার জন্য। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সুচিত্রা সেনের আত্মার শান্তির জন্য কেন মানুষ ভোট দেবেন? সুচিত্রা সেন কবে থেকে তৃণমূল হয়ে গেলেন? তিনি দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পয়েছেন নিজের জীবৎকালে। তবে, এখন বেঁচে থাকলে যদি নিজের কন্যাকে কয়লা মাফিয়াদের পাশে নিয়ে মাফিয়া পার্টির হয়ে ভোট চাইতে দেখতে পেলে লজ্জিত হয়ে যেতেন৷’’