কলকাতা: সাত দিনেও রাজীব কুমারের টিকিট ছুঁতে পারেনি সিবিআই৷ দফায় দফায় অভিযান করেও রাজীবের খোঁজ না পেয়ে এবার খালি হাতে ফিরে গেল সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল৷
জানা গিয়েছে, রাজীব কুমারকে ধরতে না পারায় ক্ষুব্দ সিবিআইয়ের সদর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সাত দিনের অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা ১৪ জনের আধিকারিকদের বিশেষ দলের মধ্যে ১০ জনকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে খবর৷
দফায় দফায় রাজীবের খোঁজে চালানোর পরও গোয়েন্দা প্রধানের সন্ধ্যান না পাওয়া আধিকারিকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী আধিকারিকরা কেন একজন আইপিএসকে ধরতে পারলেন না? তাহলে তদন্ত কোথাও খামতি আছে? রাজীব কুমারের মতো একজন আধিকারিকের সন্ধান পেতে কেন সাতদিন সময় লেগে গেল সিপিআর আধিকারিকদের? তাহলে কি রাজীব কুমারকে খুঁজতে ব্যর্থ সিবিআই?
অনদিকে, রাজীব কুমারের সন্ধানে আজ ফের ভবানী ভবনে যায় সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল৷ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভবানী ভবনে পৌঁছায় সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল৷ রাজীবের খোঁজে শুরু হয় অভিযান৷ গতকাল রাজিব কুমারের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে, এই খবরের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের অনুমান, আজ কাজে যোগ দিতে পারেন রাজীব কুমার৷ আর সেই কারণে আজও ভবানী ভবনে যান আধিকারিকরা৷
সূত্রের খবর, রাজীব কুমার আজ দপ্তরে আসেননি! রাজীবের কাজে যোগ দেওয়ার আগে ভবানী ভবনে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের একটি দল৷ যদিও ২৫ তারিখ রাজীব কুমারের ছুটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নাকি ৩০ তারিখ তা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব৷ রাজীব কুমারের ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে? নাকি ২৬ তারিখ তিনি নিজেই যোগাযোগ করেন? তা নিয়ে কোনও তথ্য সিবিআইকে দেয়নি হওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ কিছুদিন আগেই রাজীব কুমারের আইনজীবী সিবিআইকে জানায়, তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে আছেন৷ কিন্তু কে তাঁকে ছুটি দিল, কীভাবে তিনি আবেদন করলেন? তা নিয়ে দ্বন্দ্বে গোয়েন্দারা৷ আর সেই বিষয়টি স্পষ্ট করতে ফের ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে তথ্য চাওয়া হয়েছে৷