কলকাতা: রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের অবস্থান বজায় রাখতে চায় সিপিএম। কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোট এবং লড়াইয়ের তৃণমূল থাকলে আপত্তি নেই। রাজ্য কমিটির বৈঠকের শেষে এটিই সার কথা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, তৃণমূল কী চায় ওরাই বলতে পারবে। এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা তো মোদীর বিরুদ্ধে জাতীয়স্তরে ধর্মনিরপেক্ষ তথা বিরোধীদলগুলিকে সঙ্গে নিয়েই চলেছি।
গত তিন মাসে আমরা যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছি দুই বার। আমি খসড়া লিখেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সই করেছেন। এর পরেও বিজেপি বিরোধী যুক্ত লড়াই নিয়ে এত বিভ্রান্তির কি আছে? কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে পার্টির অবস্থান কী? ইয়েচুরি বলেছেন, বাংলায় তৃণমূল জনগণের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। এখানে তার প্রতিরোধ তো করতেই হবে। তার মতে, এক একটা জায়গায় লড়াইয়ে পদ্ধতি এক এক রকম। এক জায়গারটা কপি করে অন্য জোগায় লাগিয়ে দিলে চলে না।
এদিকে, সিপিএম রাজ্য কমিটি পাশে পেল না কেন্দ্রীয় কমিটিকে। কেন্দ্রীয় কমিটি কাঠগড়ায় দাঁড় করল রাজ্য কমিটিকে। রাজ্য বিধানসভায় সিপিএমের কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। অনন্য বামদলেরও কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। এই শূন্যতার কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্য কমিটিকেই দোষারোপ করেছে।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। যা খবর, সিপিএম নতুন নেতৃত্বকে সামনে আনতে চলেছে। কাল চুলের নেতৃত্বে। সাদা মাথার পিছনের এমন নেবেন। রাজ্য কমিটিতে বদল হবে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ নেতৃত্বকে দীর্ঘ সমালোচনা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুরানো নেতারা সরে দাঁড়ান। নতুনদের সুযোগ করে দিন। রাজ্য কমিটি থেকে শুরু করে সমস্ত কমিটিতে সর্বোচ্চ কত বয়স পর্যন্ত নেতারা থাকতে পারবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইয়েচুরি। কী হবে সংযুক্ত মোর্চার? কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী? যা খবর, উপনর্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার অস্তিত্ব থাকছে। সুতরাং কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকছে।