কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় আটটি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। এরাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে আট আসনের জন্য ৫৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথ পাহারার কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু, তার পরও গুলি-সংঘর্ষ-ছাপ্পার অভিযোগে সরগরম চতুর্থ দফার নির্বাচন৷ বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটলেও অবশেষে মুখ খুললেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক৷
এদিন সংবাদমাধ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বলেন, ‘‘সব ঠিকঠাক চলছে৷ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছে৷’’ জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও বেলা ১টা পর্যন্ত রাজ্যে ৮টি আসনে ৫২.৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে৷ বহরমপুরে ৫৩.৫১%, কৃষ্ণনগরে ৫১.৩৯%, রানাঘাটে ৫২.২৭%, বর্ধমান পূর্বে ৫৩.০৫%, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৫০.৮৭%, আসানসোলে ৪৭.৬৮%, বোলপুরে ৫০.৮২%, বীরভূমে ৫৪.৬০% ভোট পড়েছে৷ কোচবিহারের শীতলকুচির ১৮১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনে বেলা ১টা পর্যন্ত ৬৪০টি ভোট পড়েছে৷
ভোটের দিন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের সদাইপুরের কামরডাঙা গ্রাম। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছে। একজন তৃণমূল কর্মী ছুরিকাহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনক সিউড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিরোধী এজেন্ট না থাকায় নানুর ও সাঁইথিয়ার একাধিক বুথ থেকে তৃণমূল এজেন্টদের জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবিষয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অনুব্রত বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি নেই, কিন্তু তাদের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়। বিজেপির হয়ে ভোট করাচ্ছেন’।
মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোয় বিজেপি কর্মীরা ভোট দিতে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার৷ আউশগ্রামে ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি সমর্থক পরিবারের যুবক, মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৯ /১৫, ১৮ ও ২০ নম্বর বুথের বাইরে তৃণমূলের নির্বাচনী অস্থায়ী শিবিরে হামলার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। ওই শিবিরের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। জওয়ানদের মারে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী।