কলকাতা: এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে দলের জল্পনা খানিকটা নিজেই উস্কেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ছিল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মন্তব্যের ছোঁয়া। তিনি আবার দাবি করেছিলেন, সৌগত রায়ও নাকি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে এই দলবদল এর বিষয়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সৌগত রায়। স্পষ্ট দাবি করলেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই রয়েছেন। আগামী দিনে তাঁরা সকলে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়বেন।
কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগ দানের বিষয়ে সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, তিনি অন্য দল করবেন, মরে যাবেন কিন্তু বিজেপিতে কখনো যাবেন না। সেই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কথা তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে পরবর্তী সময় আলোচনা হবে। গতকাল সেই বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পরেও শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি এতোটুকু। কিন্তু আজ স্পষ্ট দাবি করে সৌগত জানিয়েছেন, শুভেন্দু আছেন তৃণমূলেই। দলবদলের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম কথা হয়নি। আগামী দিনে একসঙ্গে নির্বাচন লড়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর রামনগরের জনসভার পর সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শুভেন্দুর কিছু বক্তব্য আছে কিন্তু কোনো দাবি নেই। সেই প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের তাৎপর্য ছিল অন্য জায়গায়। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ শুভেন্দু অধিকারী যে ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন, তাতে অনুমান করা হচ্ছিল হয়তো রামনগরের সভা থেকেই বড় ঘোষণা করবেন তিনি। কিন্তু আদতে তা হয়নি।
যে রামনগরের সভা নিয়ে এত উত্তেজনা ছিল, সেই সবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, তিনি এখনও রাজ্যের মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী রয়েছেন। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাড়াননি, তিনিও যাননি। তবে এই মন্তব্যের পরেও যে বিতর্ক কিছু কমেছে তা নয়। উল্টে রাজ্য রাজনীতি আরো বেশি সরগরম হয়েছে। বরং বলা ভালো, রাজ্যের তৃণমূল সরকার আরো বেশি চাপে পড়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদিও সৌগত রায় এটা বলতে চাননি যে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। বারবার দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং মন্ত্রী, তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন।