গান থামিয়ে মশা তাড়ালেন সোনু, বাংলায় এত ‘মচ্ছর’? খোঁচা শিল্পীর!

কলকাতা: মারতে মশা– জাহানকোষা নয়! / ঢাল-তলোয়ার বারুদ-বোমাও নয়! / একটু নজর আগেপিছে / কোনখানে জল জমে আছে, / তার সঙ্গে সদিচ্ছাতেই আসল কাজটি হয়৷’ ছড়া দিয়ে মশা নিধনে রীতিমত সরকারি বিজ্ঞাপন৷ তাতে মশককুলের কিবা আসে যায়৷ তাইতো আলো ঝলমলে স্টেজে মশার লাইভ পারফরম্যান্স হার মানালো সোনু নিগমের লাইভ পারফরম্যান্সকেও৷ গানের মাঝে একহাতে মাইক্রোফোন নিয়ে

গান থামিয়ে মশা তাড়ালেন সোনু, বাংলায় এত ‘মচ্ছর’? খোঁচা শিল্পীর!

কলকাতা: মারতে মশা– জাহানকোষা নয়! / ঢাল-তলোয়ার বারুদ-বোমাও নয়! / একটু নজর আগেপিছে / কোনখানে জল জমে আছে, / তার সঙ্গে সদিচ্ছাতেই আসল কাজটি হয়৷’ ছড়া দিয়ে মশা নিধনে রীতিমত সরকারি বিজ্ঞাপন৷ তাতে মশককুলের কিবা আসে যায়৷ তাইতো আলো ঝলমলে স্টেজে মশার লাইভ পারফরম্যান্স হার মানালো সোনু নিগমের লাইভ পারফরম্যান্সকেও৷

গানের মাঝে একহাতে মাইক্রোফোন নিয়ে একবার নয় বার বার মশা তাড়াতে উদ্যত হলেন সোনু৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সল্টলেক সুইমিং পুলের পাশে বিএফ সিএফ মাঠে স্টেজে গান গাইতে উঠে দর্শকদের অভিবাদন জানাতে গিয়ে বলেই ফেললেন, ‘পৃথিবীর সব প্রান্তে গাইতে যাই ঠিকই৷ কলকাতার মতো এমন গুণী দর্শক পাই না৷ এত বড় অডিয়েন্স অবশ্য আগেও পেয়েছি৷ তবে এখানকার মতো বড় সাইজের মশা-পোকাও (মচ্ছর-কিঁড়ে) কোথাও পাইনি অ্যাদ্দিন!’

প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের মৈত্রী সঙ্ঘ আয়োজিত শ্যামাপুজোর জলসায় ছিল তারকার মেলা৷ মাঠে তখন উপস্থিত তার অন্তত ১৫ হাজার গুণ মুগ্ধ দর্শক৷ ভক্তের হৃদয়ে রীতিমতো ঝড় তুলে পা রাখলেন সোনু নিগম৷ প্রথম গানেই সুরে ভাসতে শুরু করল মাঠ৷ কিন্তু কয়েক লাইন পরেই হঠাৎ ছন্দপতন৷

মশা-শ্যামাপোকার আক্রমণে নাজেহাল সোনু নিগম৷ কিন্তু গান থামাচ্ছেন না৷ গানের মধ্যেই হাত নেড়ে নেড়ে পোকা তাড়াচ্ছেন৷ পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত উদ্যোক্তাদের তরফে স্টেজের মাঝখানে একটি বড়মাপের স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যাবস্থা করা হয়, যাতে পোকামাকড় আর শিল্পীকে বিরক্ত করতে না পারে৷ এর পর অবশ্য সোনুকে আর থামতে হয়নি, বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি৷

কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের একজন শিল্পী মঞ্চে উঠে মশা এবং পোকা নিয়ে অভিযোগ করেছেন, এটা সত্যিই লজ্জাজনক বলেই মেনে নিলেন উদ্যোক্তারা৷ যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে অবশ্য বলছেন, প্রচুর জোরালো আলো থাকায় শ্যামাপোকার যথেষ্ট দাপট ছিল, সেটাকেই হয়তো সোনু মশা ভেবেছেন৷

এই ঘটনার কথা শুনে, বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পরিষদের দাবি ‘দুর্গাপুজোর পর থেকে সল্টলেকে মশার উপদ্রব খানিকটা বাড়লেও মশার জন্য কোনও শিল্পীর গান গাইতে অসুবিধা হবে, এমন পরিস্থিতি নেই৷ কিন্তু খোলা আকাশের নীচে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পীর এমন অভিজ্ঞতায় প্রশ্ন উঠছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + eleven =