রাজ্যে রাজ্যে জোট করার আহ্বান সোনিয়া-রাহুলের! ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টায় বিজেপি

সূত্রের খবর, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়া কংগ্রেসকে আর কোনও আসন ছাড়তে চাইছে না তৃণমূল। সেই সঙ্গে বাড়তি হিসেবে তারা পুরুলিয়া আসন কংগ্রেসকে ছাড়লেও ছাড়তে পারে। খেয়াল করলে দেখা যাবে এই তিনটি কেন্দ্রেই গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র দুটি বা তিনটিতে যদি কংগ্রেস লড়ে তাহলে গোটা রাজ্যে দলটাই তো বসে যাবে। যে সামান্য পাতে দেওয়ার মতো সংগঠন কিছু কিছু অঞ্চলে কংগ্রেসের রয়েছে সেটাও ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই ভোট অবধারিতভাবে বিজেপির দিকে চলে যাবে বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন। অন্যদিকে সিপিএমকে একটি আসনও তৃণমূল ছাড়তে চায় না। তবে কংগ্রেস যদি তৃণমূলের থেকে কোনও আসন পেয়ে সেটি সিপিএমকে ছেড়ে দেয় তাতে আপত্তি করবে না বাংলার শাসক দল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে তৃণমূল যদি সত্যিই এই পথে হাঁটে এবং তা মেনে নেয় প্রদেশ কংগ্রেস ও আলিমুদ্দিন, তাহলে রাজ্যে কংগ্রেস ও বামেদের অস্তিত্ব কার্যত আর থাকবে না। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড তৃণমূলের সঙ্গে আসন রফার বার্তা দিলে প্রদেশ নেতৃত্বের কিছু করার থাকবে না। অর্থাৎ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব রীতিমতো উভয় সংকটে পড়েছেন। আর যথারীতি এই পরিস্থিতির ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তাই বিরোধীদের 'ইন্ডিয়া' জোট আসন রফা নিয়ে যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তার অভিঘাত পশ্চিমবঙ্গে কতটা পড়ে, বা আদৌ পড়ে কিনা এখন সেটাই দেখার।