Aajbikel

ডিএ মঞ্চে সোনালি গুহের বিস্ফোরক মন্তব্য, আগামী দিনে বিজেপির অস্ত্র হয়ে উঠবেন?

 | 
সোনালী

 নিজস্ব প্রতিনিধি:   তৃণমূল বিরোধিতায় এবার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহকে ব্যবহার করতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? শনিবারের গতিপ্রকৃতি দেখে অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রায় দু'বছর রাজনীতির জগৎ থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্তরালে ছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দশকের বেশি ছায়াসঙ্গিনী সোনালি গুহ। হঠাৎই ডিএ ইস্যুতে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে দেখা গেল তাঁকে। সেই মঞ্চে গিয়ে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

 

মমতার সেই এককালের ছায়াসঙ্গিনী সোনালি শনিবার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন বলেছিলেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়া হলে, এই সরকারের থাকার দরকার নেই। তখন বাম আমল ছিল। এখন আমি শুধু বলব দয়া করে সেই কথাটা মনে করে কেন্দ্রের হারে ডিএ দিয়ে দিন। হয় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিন, না হলে চলে যান।'' এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মমতার পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সোনালি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বলেছিলেন, কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না , তা হবে না। আর আমরা বলছি, দিদি তুমি খাবে আর তোমার ভাইপো খাবে তা হবে না! আমরা তা হতে দেব না।' একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ার পর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সোনালি। কিন্তু তারপর দু'বছর ধরে অন্তরালেই ছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার। সরে গিয়েছিলেন রাজনীতির ময়দান থেকে। এবার ধর্মতলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় সোনালিকে। সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের নেতা বলেও মেনে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নতুন করে রাজনীতির ময়দানেও তাঁকে দেখা যাবে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার। এতেই পরিষ্কার শুভেন্দুর কথাতেই সোনালি নতুন করে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করলেন।

 

কোন অঙ্কে সামনে আসছেন সোনালি? আসলে তৃণমূলের জন্মের প্রায় পনেরো বছর আগে থেকেই মমতার প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকতেন সোনালি। সেই সূত্রে মমতার প্লাস-মাইনাস সবটাই জানেন তিনি। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে সোনালি টিকিট পাননি। তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেকের আপত্তিতেই সোনালিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তাই মমতার থেকেও অভিষেকের উপর সোনালির ক্ষোভ যে আরও অনেক বেশি তা স্পষ্ট। একই ভাবে শুভেন্দুর নিশানায় প্রবলভাবে রয়েছেন অভিষেক এবং মমতা দু'জনেই। তাই সোনালিকে পাশে পেলে সেই বিরোধিতা অন্য মাত্রা পাবে বলে শুভেন্দু মনে করছেন। ইদানিং একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনালি নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করছেন মমতা এবং অভিষেককে। আর এসব দেখেই সোনালিকে নতুন করে রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চাইছেন শুভেন্দু, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে ডিএ মঞ্চে হঠাৎই উপস্থিত হয়ে সোনালি যেভাবে মমতা-অভিষেককে তোপ দাগলেন তার যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। তাই রাজ্য রাজনীতিতে সোনালির জীবনে নতুন করে 'সোনালি দিন' আসে কিনা এখন সেটাই দেখার।
 

Around The Web

Trending News

You May like