কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছাড়লেন সোমেন মিত্র৷ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে এসেছেন তিনি৷ যেহেতু রাহুল গান্ধী নিজে পদত্যাগ করেছেন, ফলে তাঁর এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে জানিয়েছেন তিনি৷ তবে, তাঁর পদত্যাপত্র গ্রহণ করা হলেও আপাতত তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব৷
গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় অধীররঞ্জন চৌধুরীকে৷ ওই পদে বসানো হয় সোমেন মিত্রকে৷ সোমেন মিত্র এর আগে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত৷ তিনি সভাপতি থাকাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৃণমূল তৈরি করেন৷ ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেস মাত্র ১টি আসন পাওয়ায় পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সোমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান৷ এবারও সেই একই কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন সোমেন৷
২০০৮ সালের জুলাই মাসে সোমেন কংগ্রেস ছেড়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গড়েন৷ কিন্তু, তা বিফলে যায়৷ ২০০৯ সালে তৃণমূলে যোগ দেন৷ ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি৷ সোমেনের ছেড়ে যাওয়া শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন সোমেনবাবুর স্ত্রী শিখা৷ ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটেও শিখা তৃণমূলের হয়ে জেতেন৷ তবে কিছু দিনের মধ্যেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন তিনি৷ এই পর্বে সোমেন মূলত নীরব থাকার লাইন নেন৷ ২০১৪ জানুয়ারি মাসে সোমেন ফের কংগ্রেসে ফেরেন৷ তার আগে তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন এই প্রবীণ নেতা৷
আগেই মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন মিলিন্দ দেওরা৷ ২৬ জুন দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরই পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন মিলিন্দ দেওরা৷ বিবার রাহুল গান্ধীর রাস্তায় হেঁটে কংগ্রেসের ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি পদ থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া৷