আজ বিকেল: পুলওয়ামা কাণ্ডের পর যেই না বায়ুসেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করল পাকিস্তানের মাটিতে, সেই বুক চাপড়ে কাঁদতে শুরু করলেন মমতা দিদি। এরপরেই তো পাকিস্তানে তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আচ্ছা পাকিস্তান কি তৃণমূলের মাসতুতো ভাই? উত্তরের বেশ কিছু জায়গায় যখন প্রথম ভোট চলছে, জনগণ সংবিধান মেনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে, ঠিক তখনই পাহাড়ে দাঁড়িয়েই তৃণমূল নেত্রীকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
দার্জিলিংয়ের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসেছেন অমিত শাহ, এদিন কালিম্পংয়ে তাঁর জনসভা ছিল। গত লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী সুন্দরলাল আলুওহালিয়া এই কেন্দ্রে বিজয়ী হন, এবার সেখানে বিজেপির প্রার্থী রাজু বিস্ত। এদিন তাঁর সমর্থনেই সভা করেন সভাপতি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলওয়ামা অ্যাটাক, বালাকোটে সেনার প্রত্যুত্তোর নিয়ে বলে গিয়েছেন তিনি। দেশভক্তিকে মুখ্য করে পাহাড়বাসী মন জয় করাই ছিল অমিতের লক্ষ্য। সুযোগ বুঝে মমতাকেও একহাত নেন তিনি। বলেন, কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা উপত্যকার জন্য ভিন্ন প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন। এক দেশে কেউ কি কখনও শুনেছেন যে দুজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা দিদি ফারুক সাহেবের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। মমতা দিদি যাই চান না কেন বিজেপি ক্ষমতায় থাকতে কাশ্মীরকে কখনওই পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বালাকোটে যখন মোদির নির্দেশে সেনা হামলা চালালো তখন দিদির বক্তব্য, প্রমাণ চাই। পাকিস্তানের জন্য কেঁদে ভাসালেন তিনি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক-টুয়ের পর গোটা দেশে খুশিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। মিষ্টিমুখ করতেও কেউ দ্বিধাবোধ করেননি। শহিদ সেনাদের সমাধিতে ফুল দেওয়া হয়। অথচ পাকিস্তান ও পশ্চিমবঙ্গে এই খুশিতে ছিল দুঃখের জোয়ার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তখন বুক চাপড়ে কাঁদছিল। নির্বাচনের আগে পাহাড়বাসীকে ফের বিজেপি মুখী করতে এভাবেই প্রচার সারলেন অমিত শাহ।