আজ বিকেল: অনেকদিন ধরেই গুজব শোনা যাচ্ছিল, দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দিনদুয়েক আগে বিহারের পাটনা সাহিব কেন্দ্রে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি। এরপরেই এই রটনা সত্যি হতে পারে যেকোনও সময়, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। আজ সেই রটনায় সিলমোহর দিলেন স্বয়ং বিহারীবাবু। তিনি এদিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান। এদিকে গতকালই বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ভোট পর্যবেক্ষক অখিলেশ প্রসাদ সিং জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিরবার বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন অভিনেতা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এদিনই তাঁকে পাটনা সাহিব কেন্দ্রের প্রার্থী করা হবে।
যদিও দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে, এখনও কংগ্রেসে যোগ দান করেননি বিহারীবাবু। এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আর কে আনন্দ জানিয়েছেন, শত্রুঘ্ন সিনহা খুব শিগগির কংগ্রেসে যোগ দেবেন। তবে বেশকিছু প্রক্রিয়া বাকি থাকায় সময় লাগছে, দিনটিও স্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
উল্লেখ্য, জিএসটি, নোটবাতিল, রাফাল কেলেঙ্কারি, কৃষকমৃত্যু নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ছিলেন এই বিজেপি নেতা। বিভিন্ন সময় প্রকাশ্য়ে তাঁকে সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মমতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সমাবেশেও যোগ দেন। তারপর থেকে বিজেপি তাঁকে প্রায় একঘরে করে দিয়েছিল, কোনও সভাসমিতি, অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছিল না। এরপর তাঁরই জেতা কেন্দ্র পাটনা সাহিবে যখন রবিশংকর প্রসাদ বিজেপির প্রার্থী হলেন তখন গোটা সমীকরণটাই জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গেল। অভিনেতা নিজেও আঁচ করতে পেরেছিলেন, তাই তো তাঁকে এমনটাও বলতে শোনা গিয়েছিল যে, দল যদি পাটনা সাহিব থেকে তাঁকে প্রার্থী না করে। তবে তিনি অন্যদলে যোগ দেবেন ও পাটনা সাহিব থেকেই ভোটে লড়বেন। এদিন তাঁর কংগ্রেসে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হল।