নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী, বাংলায় এসে দল ভাঙাচ্ছেন: মমতা

হুগলি: মোদির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূলের ৪০ বিধায়ক৷ নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার ভদ্রেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মোদি এখানে এসে বলে গিয়েছে, ওর সঙ্গে নাকি ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছে৷ যে যাবে যাক৷ আমার কিছু এসে যাবে না৷ কারণ আমরা নেতা তৈরি করি৷’’ বলেন, ‘‘নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী, দল ভাঙাচ্ছেন৷ বাংলায়

নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী, বাংলায় এসে দল ভাঙাচ্ছেন: মমতা

হুগলি: মোদির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূলের ৪০ বিধায়ক৷ নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার ভদ্রেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মোদি এখানে এসে বলে গিয়েছে, ওর সঙ্গে নাকি ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছে৷ যে যাবে যাক৷ আমার কিছু এসে যাবে না৷ কারণ আমরা নেতা তৈরি করি৷’’

বলেন, ‘‘নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী, দল ভাঙাচ্ছেন৷ বাংলায় এসে ঘোড়া কেনাবেচা করছে৷ বিজেপি মতো আমরা চোরের দল নয়৷ টাকা দেখিয়ে দল ভাঙিয়ে নিয়ে যায়৷ বলছে, ৪০ জনের সঙ্গে আছে৷ এটা বলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত৷ বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যা কথা বলছে, মানুষ সব মনে রাখছেন৷’’

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের আগেই মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাল্টা মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানান ডেকের৷ বলেন, ‘‘এক্সপেরিয়া মোদি বাবু, আপনার সঙ্গে কেউ যাবে না, একজন কাউন্সিলারও যাবে না৷ এটা কি আপনার নির্বাচনী সভা না কি ঘোড়া কেনা বেচার জায়গা৷ আপনার বিদায়ের দিন চলে এসেছে৷ আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাব৷ এভাবে কী ঘোড়া কেনাবেচা করা যায়?’’

সোমবার ভরদুপুরে শাসকদলের ঘুম উড়িয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি৷ শ্রীরামপুরের কৃষ্ণরামপুরের সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেন৷ দলবদলের জল্পনাকে উস্কে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মোদি জানান, ২৩ মের পর তৃণমূলের পতন শুরু হবে৷ কারণ তাঁর সঙ্গে আজও যোগাযোগ রেখে চলেছেন ৪০ জন বিধায়ক৷

এদিন মমতাকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদি বলেন, ‘‘দিদি তোমার দিন শেষ৷ আজ ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে৷ আগামী ২৩ মের পর থেকে তোমার পতন শুরু হয়ে যাবে৷ দিদি তোমার পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে৷ ২৩ মের পর সবাই বিজেপিতে যোগ দেবে৷’’

এদিন নাম না করে বলেন, ‘‘আপনি গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন, এবার সেই গণতন্ত্রকেই একটু বিশ্বাস করুন৷’’ বাংলা ভোটের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘যত দফা যাচ্ছে, বিরোধীদের ভয় তত বাড়ছে৷ আজ, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিদির দলের লোকেরাও তাঁকে দেখে ভয় পাচ্ছে৷’’ ভোটের সন্ত্রাস ইস্যুতে বলেন, ‘‘আজ মমতাদির গুণ্ডা ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে না৷ আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে৷ তবুও এত বাধার পরও আমাদের কর্মীরা বুথে যাচ্ছেন৷’’

সোমবার ভরদুপুরে টানা রোদ ও গরমের মধ্যেও দীর্ঘ ভাষণ দেন মোদি৷ মহাজোট থেকে শুরু করে মোদির আমলের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন৷ একই সঙ্গে ‘দিদি’কে কটাক্ষ করেন নমো৷ পুলওয়ামা হামলা নিয়েও মমতাকে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী৷ জঙ্গিদের মারলে দিদির ভালো লাগে না বলেও অভিযোগ তোলেন৷ বলেন, ‘‘এই ধরেন লোক কী দেশকে রক্ষা করতে পারবে, যাঁরা সেনার সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷’’ এদিনের সভা থেকে নয়া স্লোগান তোলেন মোদি৷ বলেন, ‘‘চুপ চাপ, ফুলফুল সে তৃণমূল সাফ৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =