বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু, ভবিষ্যবাণী মুখ্যমন্ত্রীর

কাঁথি: তৃণমূলে নাম লেখাবেন শুভেন্দু অধিকারী! ভোটের ময়দান গরম করে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ শুক্রবার কাঁথিতে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাস্তা তৈরি করে রেখেছেন৷ প্রতিবেশী মুখ্যমনন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু৷ সংবাদ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওনার ডাক্তার দেখানোর দরকার আছে৷ ওনার মাথা খারাপ থেকে যখন

বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু, ভবিষ্যবাণী মুখ্যমন্ত্রীর

কাঁথি: তৃণমূলে নাম লেখাবেন শুভেন্দু অধিকারী! ভোটের ময়দান গরম করে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ শুক্রবার কাঁথিতে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাস্তা তৈরি করে রেখেছেন৷ প্রতিবেশী মুখ্যমনন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু৷

সংবাদ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওনার ডাক্তার দেখানোর দরকার আছে৷ ওনার মাথা খারাপ থেকে যখন তখন যা তা ভুল বকছেন৷ আমি ওনাকে পরামর্শ দেব, উনি কলকাতার কোনও ভাল মেন্টাল ডাক্তারের কাছে চিকিত্সা করান৷ না হলে আমিই ডাক্তারের ব্যবস্থা করিয়ে দিচ্ছি৷’’  শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবীর হুঁশিয়ারি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই মন্তব্যের জন্য বিপ্লব দেবকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ না হলে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করা হবে৷

শুক্রবার কাঁথির সভা থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২৩ মের পর দেখবেন, তৃণমূলের কী অবস্থা হয়৷ ওদের দলের নেতাদের আর ধরে রাখতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সবাই বিজেপিতে যোগ দেবে৷ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাস্তা তৈরি করে রেখেছেন৷’’

শ্রীরামপুরের কৃষ্ণরামপুরের সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দলবদলের জল্পনাকে উস্কে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মোদি জানান, ২৩ মের পর তৃণমূলের পতন শুরু হবে৷ কারণ তাঁর সঙ্গে আজও যোগাযোগ রেখে চলেছেন ৪০ জন বিধায়ক৷

মোদির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূলের ৪০ বিধায়ক৷ নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাল্টা মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানান ডেকের৷ বলেন, ‘‘এক্সপেরিয়া মোদি বাবু, আপনার সঙ্গে কেউ যাবে না, একজন কাউন্সিলারও যাবে না৷ এটা কি আপনার নির্বাচনী সভা না কি ঘোড়া কেনা বেচার জায়গা৷ আপনার বিদায়ের দিন চলে এসেছে৷ আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাব৷ এভাবে কী ঘোড়া কেনাবেচা করা যায়?’’ জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =