কলকাতা:দীর্ঘ দিন ধরেই জল্পনা ছিল৷ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও তাঁর ‘পারিবারিক বন্ধু’ নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন৷ বিজেপি যোগ দেওয়ার জল্পনা চললেও হাল ছাড়েনি তৃণমূল৷ শাসকদের তরফে বারংবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চললেও গলেনি বরফ৷ সম্প্রতি শোভন ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেও দলনেত্রী খোদ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, তাতেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ এবার, কাউন্সিলরদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের এর এবার সটান দিল্লি গেলেন শোভন-বৈশাখী!
কিন্তু, কেন তাঁদের এই দিল্লি সফর? তা অবশ্য কিছুই জানা যায়নি৷ শোভন-বৈশাখী দল বদল করছেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও স্পষ্ট কোনও জবাবাও মেলেনি৷ যদিও, শোভন-বৈশাখীর দিল্লি সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই কানাঘোষা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কেননা, সাম্প্রতিক কালে যে তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই হঠাৎ চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে৷ দিন কয়েক পর যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে৷ এবার শোভন-বৈশাখী দিল্লি সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷
যদিও দলবদলের সমস্ত জল্পনায় আগেই জল ঢেলে বিজেপিতে নাম লেখানোর বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চলতি বছর ১৩ মার্চ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমাকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জল্পনা চলছে৷ আমার মনে হয়েছে, এই বিষয়ে আমার অবস্থান আপনাদের জানানো উচিত৷ তাই আজ সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি৷’’ বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন কি না, এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাকে এক বিজেপি নেতা ফোন করে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেন৷ আমি তাঁর প্রস্তাব ভেবে দেখব বলে জানিয়েছিলাম৷ এর পরই আমাকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়৷ আমি আজ সাফ জানিয়ে দিচ্ছি, আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না৷ কোনও রাজনৈতিক দলেই যাচ্ছি না৷’’ শোভনবাবুকে কি বিজেপিতে যোগদানের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, অধ্যাপিকার জবাব, ‘‘আমাকে কেউ কিছু বলেনি৷ আমি কিছুই জানি না৷’’ জোর আলোচনা ছিল, খুব সম্ভবত বিজেপিতে যেতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারিক বন্ধু৷ কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আজ সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও দলেই তিনি যাচ্ছেন না৷ একই সঙ্গে শোভনবাবুও কোনও দল পরিবর্তন করছেন না বলেও জানিয়ে দেন তিনি৷ আগে অবশ্য তিনি বলে রেখেছেন, যা করবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভালোর জন্যই করবেন৷ শোভন অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি৷