আজ বিকেল: তৃণমূলের ছাতা ধরল পুলিশ, শুনতে হাসি পেলেও একথা কোনও কৌতূক করে বলা বিষয় নয়। এমনটাই ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসতে। লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়েছেন বারাসত কেন্দ্রের প্রার্থী সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
সঙ্গে আছেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা বিধায়ক সুজিত বসু। হুড খোলা জিপে চড়ে চলছে প্রচার। চৈত্রের কড়া রোদ্দুরকে উপেক্ষা করেই গাড়িতে রয়েছেন কাকলিদেবী সঙ্গে সুজিতবাবু। গোটা গাড়িকে দলীয় পতাকা, তেরঙ্গা বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। শ্রান্ত প্রার্থীর মাথায় দলীয় প্রতীক ছাপের বড় সাদা ছাতা ধরে আছেন এক পুলিশকর্মী। রাজ্যের পুলিশ যে শাসকদলের নেতানেত্রীদের চাকর বাকরে পরিণত হয়েছে, এই ছবিই তার অকাট্য প্রমাণ।
প্রচারের পর সাংসদ নিজেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তৃণমূল প্রার্থীর মাথায় ছাতা ধরার জন্য প্রচার গাড়িতে চেপেছে পুলিশ, এনিয়ে শুরু হয়েছে টিকাটিপ্পনী। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব সরিয়ে রেখে পুলিশ কিনা তৃণমূলের চাকরগিরি করছে। ফাই ফরমায়েশ খাটতে গিয়ে এবার দলীয় প্রার্থীর মাথায় ছাতা ধরছে পুলিশ এটাই তার কাজ। ভাইরাল ছবিটির কমেন্ট বক্স উপচে পড়েছে কটাক্ষে। নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তুলে দিয়েছে। তৃণমূলের অন্দরেও এনিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। এরমধ্যে আসানসোলে আবার প্রার্থী মুনমুন সেনের ছবির পাশে লেখা তৃণমূলকে জেতাতে পদ্ম ছাপে বোতাম টিপুন। ভুল করে এমন দেওয়াল লিখন হয়েছে বলে দাবি জেলা তৃণমূলের। তবে বিরোধীরা এমন খোরাক ছাড়েনি, চলছে কটাক্ষ।