সারদার কাটমানি ফেরাবেন শতাব্দী, টাকার পরিমাণ জানেন কত?

কলকাতা: মিঠুন চক্রবর্তীর দেখানো পথে এবার সারদা থেকে নেওয়া কাটমানির টাকা ফেরাতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ জেরার জন্য ইডির নোটিশের ভিত্তিতে শতাব্দী দাবি করছেন, তা সারদার টাকা ফিরিয়ে দেবেন৷ তবে, এখনই নয়৷ সংসদ অধিবেশ শেষ হওয়ার পর তিনি ফিরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন৷ কিন্তু, কত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শতাব্দী? সারদাকাণ্ডে আগেই নোটিস

সারদার কাটমানি ফেরাবেন শতাব্দী, টাকার পরিমাণ জানেন কত?

কলকাতা: মিঠুন চক্রবর্তীর দেখানো পথে এবার সারদা থেকে নেওয়া কাটমানির টাকা ফেরাতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ জেরার জন্য ইডির নোটিশের ভিত্তিতে শতাব্দী দাবি করছেন, তা সারদার টাকা ফিরিয়ে দেবেন৷ তবে, এখনই নয়৷ সংসদ অধিবেশ শেষ হওয়ার পর তিনি ফিরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন৷ কিন্তু, কত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শতাব্দী?

সারদাকাণ্ডে আগেই নোটিস পাঠিয়ে এবার শতাব্দী রায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট৷ আগামী ১২ জুলাই হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান৷ পরে ফের তাঁকে নোটিশ পাঠানো হলে শতাব্দী তার উত্তরে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর৷

সারদার অ্যাকাউন্ট থেকে কেন তৃণমূল সাংসদের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তা জানতেই তাঁকে তদল করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর৷ বিভিন্ন নথি থেকে ইডি জানতে পেরেছে, সারদার অ্যাকাউন্ট থেকে তৃণমূল সাংসদের কাছে টাকা পাঠানো হয়েছিল৷ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে বাজার থেকে সারদার টাকা তুলতে শতাব্দীর ভূমিকাও ছিল৷ ইডির নোটিস পেয়ে শতাব্দী জনিয়েছেন, সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে তিনি ৪২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন৷ তার মধ্যে ৩৯ লক্ষ টাকা তিনি টিডিএস কেটে হাতে পেয়েছিলেন৷ ইডি সূত্রে খবর, ওই ৩৯ লক্ষ টাকা তিনি ফেরত দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷

গত ১৭ জুলাই ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়ে অভিনেতা মিঠুনকে বিঁধে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি৷ এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই৷ কিন্তু কথা হচ্ছে, এটা কোন সরলীকরণের বিষয় নয়৷ মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গে সংস্থার যে বোঝাপড়া ছিল সেটা হচ্ছে, ৫২টি সপ্তাহের কাজ করার৷ কিন্তু আমাদের মনে পড়ছে, মিঠুন চক্রবর্তী কাজ করেছিলেন ৯টি এপিসোড৷ ৭টি টেলিকাস্ট হয়৷ যেহেতু কাজ না করে পয়সা নিয়েছিলেন তিনি, তাই তিনি ফেরত দিতে পারেন৷ যারা পরিশ্রম করেছেন, সময় দিয়েছেন কাজ করেছেন, পারিশ্রমিক নিয়েছেন৷ তা ছাড়া যতদিন রাজ্য সরকারের তদন্ত করেছিল, তখন মিঠুন চক্রবর্তীর বিবেক কোথায় ছিল? সিবিআই, ইডি না আসলে মিঠুন চক্রবর্তীর টাকা ফেরত দেওয়ার বিবেক জাগত? তাহলে আগে দেননি কেন?’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =