কলকাতা: সবটাই সুচারু ভাবে কোনও না কোনও মহল থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ সারদা এবং নারদা কাণ্ডে অভিযুক্তদের জেরার বয়ানে এত মিল যে গোয়েন্দাদের মনে হয়েছে তাঁরা একসাথে বসে হয়তো কোনও প্রফেসরের ক্লাস করেছেন৷ কে এই প্রফেসর, আড়াল থেকে সিবিআই, ই ডি’র গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করতে অভিযুক্তদের ক্লাস নিচ্ছেন? সূত্র খুঁজছে গোয়েন্দারা৷
সূত্রের খবর, এক সিবিআই কর্তা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, অভিযুক্তদের বয়ান যেন জেরক্স কপি৷ সারদা এবং নারদা কেলেঙ্কারিতে শাসক দল এবং তার প্রথমসারির নেতারা অভিযুক্ত৷ কিন্তু, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সকলেই একই রকম জবাব দিচ্ছেন৷ আর সেই জবাব কোনোও না কোনও ভাবে মুকুল রায়ের দিকেই নির্দেশিত৷ সূত্রের খবর, এমনকি বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেও সিবিআই যে বয়ান পেয়েছে তাও তৃণমূল নেতাদের বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে৷ অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া দুস্কর৷ যেন মনে হয়েছে শোভন বিজেপিতে এলেও তৃণমূলের সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি বয়ান দিয়েছেন৷ তবে তাঁর বয়ান মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গিয়েছে কিনা সে খবর পাওয়া যায়নি৷
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতারা কোনও বয়ান দেননি৷ সিবিআই এর সন্দেহ, শোভন পুরানো দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই ঘুটি সাজিয়েছেন৷ কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন গিয়েছিলেন ভাইফোঁটা নিতে৷ সেক্ষেত্রে গোয়েন্দারা একে একে দুই করতে চাইছেন৷ অন্যদিকে, শোভনের বান্ধবী , বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও দু-দফায় রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান৷ নারদা কাণ্ডের জেরার পরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বৈশাখী৷ আবার, সারদা কাণ্ডের জেরার পরেও দেখা করেন৷
এদিকে রাজনৈতিক মোহলে খবর বিজেপিতে কলকে পাচ্ছেন না শোভন-বৈশাখী৷ তাই এবার তৃণমূলের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে৷ সিবিআইয়ের একটি সূত্র মনে করছে, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন এবং অন্যায় তৃণমূল নেতারা একটি প্রভাবশালী মহলকে বাঁচানোর নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ বিজেপিতে অতিষ্ঠ শোভন-বৈশাখী এবং অন্যদিকে, তৃণমূল নেতাদের একসুরে বয়ানে বড়সড় চিত্রনাট্যের খোঁজ পেতে পারেন বলে মনে করছে সিবিআই সূত্র৷