কলকাতা: তৃণমূলের আনা অনাস্থা নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন সব্যসাচী দত্ত৷ এবার আইনজিবীদের পরামর্শ নিয়ে তৃণমূলের অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিধাননগরেরর মেয়রের৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ‘ত্রুটিপূর্ণ’৷ আইন অনুযায়ী নেওয়া নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন সব্যসাচী৷ আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভবনা৷
গত ৯ জুলাই বিধাননগর পুরসভাতে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের ৩৫ জন কাউন্সিলর৷ ১৮ তারিখ অনাস্থা ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়৷ গত সপ্তাহেই পুরসভার কাউন্সিলরদের অনাস্থার চিঠিতে সই করেন বিধাননগরেরর মেয়র৷ এই নোটিস পাওয়ার পর মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ সটান হাইকোর্টে চলে যান সব্যসাচী৷
তৃণমূল কাউন্সিলাদের অনাস্থার চিঠি নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে যান সব্যসাচী৷ বলেন, ‘‘আইনজিবীদের চিঠির প্রতিলিপি আমি দিয়েছি৷ তারা সেই চিঠি আগে দেখবেন৷ তারপর আমাকে যা বলার বলবেন৷’’ এরপরই জল্পনা বাড়িয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আগে আইনঅনুয়ায়ী অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন কি না সেটা, আমায় দেখতে হবে৷ যদি না হয় তাহলে আদালত আছে৷’’ তৃণমূলের ডাকা অনস্থা আটকাতে সব্যসাচী দত্ত আইনজিবীদের পরামর্শ নিয়ে দায়ের করেন মামলা৷
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২২টা নাগাদ নিউটাউনের বিধায়কের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে যাওয়ার আগে মুকুল রায় জানান, ওর বিপদের দিনে আমি পাশে আছি৷ এই বার্তা দিতেই সব্যসাচীর বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে দাবি মুকুলের৷ বৈঠক শেষে মুকুলের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমি এসেছিলাম ওকে কিছু পরামর্শ দিতে৷ অনাস্থার স্ট্রাটেজি ঠিক করলাম৷’’ কী সেই স্ট্রাটেজি? মুকুল মুখ না খুললেও বিধাননগর পুরসভার অনাস্থা ভোটে যে বেশ কিছু নাটকীয় মোড় অপেক্ষা করছে, তাও ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন তৃণমূলের একদা চানক্য মুকুল রায়৷
মুকুলের সঙ্গে ঘনঘন সাক্ষাতে সব্যসাচী দত্তের উপর বিরক্ত তৃণমূল৷ পুরমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, সব্যসাচীর ‘বেইমান’দের সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক মানবে না দল৷ দলে থেকে মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ দলবিরোধী বলে জানিয়েছিলেন ফিরাদ হাকিম৷ তারপরেও বৃহস্পতিবার ফের মুকুলের সঙ্গে বৈঠক সব্যসাচী দত্ত৷ যদিও সব্যসাচী দত্ত এখনও পর্যন্ত এদিনের মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি৷