নন্দীগ্রামে ফের উঠল লাল সুনামি, জনজোয়ারে স্তম্ভিত সিপিএম

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের সভায় জনজোয়ার দেখে অক্সিজেন পেয়েছে সিপিএম৷ প্রায় তিন বছর পর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সভা করেছে সিপিএম৷ ওই সভায় জনজোয়ার দেখে রীতিমত আনন্দিত লালপার্টি৷ এলাকার নাম নন্দীগ্রামের চণ্ডীপুর৷ স্থান, বিনয় স্মৃতি ফুটবল মাঠ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই দারুণভাবে এলেন এলাকার মানুষ৷ মূলত এই সভা ছিল এন আর সি বিরোধিতার সভা৷ তার সঙ্গে চাকরির দাবি

নন্দীগ্রামে ফের উঠল লাল সুনামি, জনজোয়ারে স্তম্ভিত সিপিএম

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের সভায় জনজোয়ার দেখে অক্সিজেন পেয়েছে সিপিএম৷ প্রায় তিন বছর পর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সভা করেছে সিপিএম৷ ওই সভায় জনজোয়ার দেখে রীতিমত আনন্দিত লালপার্টি৷

এলাকার নাম নন্দীগ্রামের চণ্ডীপুর৷ স্থান, বিনয় স্মৃতি ফুটবল মাঠ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই দারুণভাবে এলেন এলাকার মানুষ৷ মূলত এই সভা ছিল এন আর সি বিরোধিতার সভা৷ তার সঙ্গে চাকরির দাবি এবং তৃণমূল ও বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে সভা৷ এই সভায় জনসমুদ্র দেখে আশায় বুক বাঁধছে সিপিএম৷ মুখ্য বক্তা ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ এছাড়া নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম এবং জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি৷

শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় হতাশাজনক ফলাফল করেছে পার্টি৷ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে এই জন্য দায়ী করেছে সিপিএম৷ পার্টির দাবি, লাগামহীন সন্ত্রাস করে সেই ভোট জিতেছে তৃণমূল৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক কালচারকেই খুন করা হয়েছে৷

অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক পরাজয়ের মুখে পড়েছে সিপিএম৷ এই জেলাতেও খুব খারাপ ফল হয়েছে৷ তৃণমূল বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতিই কারণ, বলছে পার্টি৷ এছাড়াও টাকার থলি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল দুই পার্টিই৷ ভোটে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে৷ কিন্তু, এত কিছুর পরও সিপিএমের সভায় এত মানুষের ভিড় কেন? পার্টির নেতারা বলছেন, মানুষ বিজেপি-তৃণমূলের তলায় তলায় আঁতাত বুঝে নিয়েছে৷

পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের সংগঠন এখন প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ৷ কিন্তু জনজোয়ার দেখে পার্টি মনে করছে, মানুষের ভালোবাসা তাদের জন্য অটুট রয়েছে৷ ভোট যদি ঠিক ভাবে হয়, এই জেলায় আবার উড়বে লালঝান্ডা৷ যে নন্দীগ্রাম এক সময় বধ্যভূমি হয়ে উঠেছিল, ১৪ জন পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছিল, তা বামফ্রন্টের থেকে মুখ ফিরিয়েছিল৷ কিন্তু, শেষ আট বছরে এই এলাকার মানুষ বুঝেছে পরিবর্তন সিপিএম আনতে পারে, বলছিলেন এই এলাকাবাসী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − twelve =