রসগোল্লা শুধুই বাংলার, তাতে ভাগ বসানো যাবে না, রায় আদালতের

কলকাতা: অবশেষে জিতল বাংলা৷ ধোপে টিকল না ওড়িশার দাবি৷ রসগোল্লা বাংলারই৷ ওড়িশার দাবি খারিজ জিআই কোর্টে৷ কলিঙ্গের দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷ আর তার জেরেই রসগোল্লা বাংলা পেয়ে গেল জিআই জিআই স্বীকৃতি৷ আজ জিআই আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রসগোল্লা যে বাংলার নয়, তা প্রমাণ করতে পারেনি ওড়িশা৷ ওড়িশার কোনও যুক্তি ধোপে টেকেনি৷ ফলে, আদালত জানিয়ে

রসগোল্লা শুধুই বাংলার, তাতে ভাগ বসানো যাবে না, রায় আদালতের

কলকাতা: অবশেষে জিতল বাংলা৷ ধোপে টিকল না ওড়িশার দাবি৷ রসগোল্লা বাংলারই৷ ওড়িশার দাবি খারিজ জিআই কোর্টে৷ কলিঙ্গের দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷ আর তার জেরেই রসগোল্লা বাংলা পেয়ে গেল জিআই জিআই স্বীকৃতি৷

আজ জিআই আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রসগোল্লা যে বাংলার নয়, তা প্রমাণ করতে পারেনি ওড়িশা৷ ওড়িশার কোনও যুক্তি ধোপে টেকেনি৷ ফলে, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রসগোল্লা বাংলার ছিল৷ বাংলার থাকবে৷ এখানে ভাগ বসাতে পারে না ওড়িশা৷ বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতে৷

এর আগেও বাংলাকে রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ তবে এই নিয়ে ঘোর আপত্তি তোলে ওড়িশা৷ শুরু হয় আইনি লড়াই৷ দীর্ঘ বিতর্ক দানা বাঁধে আদালতে৷ জিআই স্বীকৃতি নিয়ে আদালতে গড়ায় মামলা৷ পরে আজ আদালত মামলার শুনানিতে উভয় পক্ষের সওয়াল শোনার পর বাংলার পক্ষেই রায় ঘোষণা করে৷

রসগোল্লা শুধুই বাংলার, তাতে ভাগ বসানো যাবে না, রায় আদালতের

রসগোল্লা কার? এই নিয়ে যুদ্ধে নামে বাংলা ও ওডিশা৷ দীর্ঘ লড়াই শেষে গত ২০১৭ সালে নভেম্বরে জিআই কর্তৃপক্ষ বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করে৷ কিন্তু, তাতে আপত্তি তুলে জিআই আদালতে যায় ওড়িশা৷ সেখানে ফের মুখ পোড়ে ওড়িশার৷ জিআই সাফ জানিয়ে দেয়, রসগোল্লা একমাত্র বাংলার৷ প্রায় ১৫০ বছর আগে রসগোল্লার অস্তিত্ব মেলে৷ চৈতন্যচরিতামৃতে ছানার উল্লেখ থাকলেও ‘রসগোল্লা’ শব্দটি পাওয়া যায়নি৷ আর জগন্নাথ দেবকে দেওয়া মিষ্টি ক্ষীরমহল বলে উল্লেখ পাওয়া যায় বিভিন্ন গ্রন্থে৷ পরে জিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, ছানা দিয়ে তৈরি মিষ্টি পুরোপুরি বাংলার৷ ফলে, এই মুহূর্তে মন্ডা থেকে শুরু করে সন্দেশ ও সর্বশেষ রসগোল্লা এল বাংলার দখলে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *