নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় ভোট হওয়ার কথা ছিল অনেক আগেই। কিন্তু তা স্থগিত হয়ে যায় করোনা ভাইরাস অতিমারির কারণে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ফলে বেজে গেছে ভোটযুদ্ধের দামামা। ১০টি রাজ্যের আসন নিয়ে বেশ টানটান চলছে। এদিকে, অনেক আগে থেকেই শাসক দল এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে বিতর্ক লেগেছিল। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, টাকা দিয়ে তাদের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। কিনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বিধায়কদের। গুজরাট এবং রাজস্থানে এই নিয়ে সবথেকে বেশি জলঘোলা চলছে বলে জানা গেছে। গুজরাটে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা আহমেদ প্যাটেলের আসন দখল করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিল গেরুয়া বাহিনী, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়। দেখে নেওয়া যাক এই ভোটের কড়চা—
গুজরাট, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের চারটি করে আসন, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের তিনটি করে আসন, ঝাড়খণ্ডের দুটি এবং মেঘালয়-মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং মিজোরামের একটি করে আসনে লড়াই হচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। গুজরাট, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের একটি করে মোট তিনটি আসনে সবথেকে জোরদার লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে অতিমারির পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে। ভোটদাতা সমস্ত বিধায়কদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে এবং এবং সমস্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা করেই ঢুক্তে দেওয়া হচ্ছে। কারও মধ্যে যদি করোনার উপসর্গ দেখা দেয় তো তাঁকে অবিলম্বে আলাদা ঘরে নিয়ে যাওয়া হবে।
বর্তমানে রাজ্যসভায় এনডিএ-র অধিকৃত আসন ৯১টি, এবং ইউপিএ-র ৬১টি। অন্যান্য সব দল মিলিয়ে ৬৮টি আসন অধিকার করে আছে। আজকের ভোটাভুটিতে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আছেন শক্তি সিং গোহিল, ভরত সিং সোলাঙ্কি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দিগ্বিজয় সিং এবং কে সি বেণুগোপাল।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ভাঙিয়ে এনে কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। কং মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ জোর চেষ্টা করছেন কিছু আসন ফিরিয়ে আনতে।
মণিপুরে আবার বিজেপির সরকারের প্রতি অনাস্থা এনে ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। গেরুয়া বাহিনী থেকে ইতিমধ্যেই আট বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন, ফলে সেখানেও উত্তেজক লড়াই দেখার সম্ভাবনা।