আগাম জামিনে না, সুপ্রিম কোর্টের পর বারাসত খালি হাতেই ফিরছেন রাজীব কুমার

আজ বিকেল: রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল বারাসত কোর্ট। সারদা মামলায় অভিযুক্ত কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সময়টা বড়ই খারাপ যাচ্ছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের লোকসভার ফলাফল দেখলে মমতার শুভাকাঙ্খীরা আঁতকে উঠছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রাজীব কুমারের রক্ষাকবচের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আজ রাত বারোটায়। তারপর যেকোনও মুহূর্তে তদন্তের নামে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে

আগাম জামিনে না, সুপ্রিম কোর্টের পর বারাসত খালি হাতেই ফিরছেন রাজীব কুমার

আজ বিকেল: রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল বারাসত কোর্ট। সারদা মামলায় অভিযুক্ত কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সময়টা বড়ই খারাপ যাচ্ছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের লোকসভার ফলাফল দেখলে মমতার শুভাকাঙ্খীরা আঁতকে উঠছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রাজীব কুমারের রক্ষাকবচের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আজ রাত বারোটায়। তারপর যেকোনও মুহূর্তে তদন্তের নামে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিআই। তাই গ্রেপ্তারি এড়াতে আগেভাগেই সুপ্রিমকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন রাজীব কুমার। তবে সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তাঁকে জানানো হয়েছে, জামিনের জন্য রাজীব কুমারকে নিম্ন আদালতেই আবেদন করতে হবে।তবে বারাসত থেকেও তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হল আজ।

গত ১৭ তারিখেই এই রক্ষকবচের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয়েছিল আগামী সাতদিন পর্যন্ত সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। তবে রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হলেই তাঁর গ্রেপ্তারি আসন্ন। এদিকে আজকের মধ্যেই তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে হবে, নাহলে তা আর ফলপ্রসূ হবে না।

এ দিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অরুণ মিশ্র রাজীব কুমারের আইনজীবীকে বলেন, আপনারা এখানে কেন সময় নষ্ট করছেন। তিন সদস্যের বেঞ্চ যখন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, তখন নতুন করে কেন আবেদন করলেন? জবাবে রাজীব কুমারের আইনজীবী বলেন, কারণ পশ্চিমবঙ্গে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। নিম্ন আদালতে সেই কারণে আবেদন জানানো যাচ্ছে না। কিন্তু এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কী চলছে আমি জানি। রাজীব কুমার একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার। তরুণ আইনজীবীদের থেকে তিনি নিশ্চয়ই আইনটা ভাল বোঝেন। আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন তো কী হয়েছে, রাজীব কুমার নিজে কেন আদালতে গিয়ে সওয়াল করছেন না? শুধু তা নয়, বিচারপতি বলেন, এর পরেও জোরাজুরি করলে আরও কঠোর মন্তব্যও কিন্তু করতে পারি।

রাজ্যে মমতার অবস্থান খুব একটা ভাল নয়। দেশজুড়ে ইউনাইটেড ইন্ডিার মধ্যমণি হয়েওঠা এই নেত্রী ভালমতো টের পাচ্ছেন, তাঁর কথা আর কেউ শোনে না। নাহলে ব্রিগেডে এত জনসমাবেশের পরেও বাংলার মানুষ ৪২-এ-৪২ করল না। এমতাবস্থায় দিদি যে রাজীব কুমারের পাশে থাকবেন তেমন ভরসা দেখা যাচ্ছে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + six =