কলকাতা: ফের কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন রাজীব কুমার৷ ফের বাড়ল রাজীব কুমারের আইনি রক্ষাকবচের অন্তবর্তীকালীন সময়সীমা৷ আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত রাজীবের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না৷ তাঁকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না৷ তবে, তাঁকে যথারীতি তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে৷ তৃণমূলের শহিদ দিবস ২১ জুলাইয়ের পর দিন পর্যন্ত রক্ষাকবচের অন্তবর্তীকালীন সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ বিচারপতি আশা আরোরার৷ আগামী ১৫ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি৷
এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে মামলা দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷ কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ সিবিআইয়ের সেই আর্জি খারিজ করেদেন৷ ওই আবেদন খারিজ হওয়ার পর আজ ছিল মামলার শুনানি৷ আজ
Saradha chit fund scam: Calcutta High Court extends the interim protection from arrest, to former Kolkata Police Commissioner Rajeev Kumar till 22nd July. Main petition to be heard on July 15, modification plea on him traveling outside Kolkata will be heard on July 22. pic.twitter.com/FJx1K5k7cd
— ANI (@ANI) July 2, 2019
সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পর বেশ চিটফান্ড তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রধান রাজীব কুমার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন৷ কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ একাধিক শর্তে রাজীব কুমারকে সাময়িক রক্ষাকবচ দেয়৷ রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় আদালতের তরফে৷ তবে, সিবিআই যখন ডাকবে, তখনই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়৷
অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে নয়া মোড়৷ এবার তৃণমূলপন্থী দুই বুদ্ধিজীবীকে ফের ডেকে পাঠাল সিবিআই৷ রাজীব কুমার সহ সারদা তদন্তে সিটের সদস্যদের জেরে করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবার ব্যবসায়ী শিবাজী পাঁজা ও শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ আগামী ৫ জুলাই শিবাজীকে ডাকা হয়েছে৷ শুভাপ্রসন্ন ডাক পেয়েছেন ৯ জুলাই৷
জাল নথি দিয়ে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অর্থিক প্রতারণার দায়ে আগেই শ্রীঘরে গিয়েছিলেন চিরাগ কর্তা শিবাজী পাঁজা ও কৌস্তভ রায়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে৷ এই অভিযোগেই ভিত্ততে তাঁদের আগেই গ্রেপ্তার করে সিবিআই৷ তবে, দুর্নীতি এখানেই শেষ নয়, রোজভ্যালিকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছেন এই ব্যবসায়ী৷ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী শিবাজী পাঁজাকে এর আগেও একাধিকবার তলব করা হয়৷ শিবাজী পাঁজার বিরুদ্ধে সারদা ও রোজভ্যালি সংস্থা থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ আগামী ৫ জুলাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে৷
পরিবর্তন চাওয়া বিদ্বজন মহলের একদম সামনের সারির মুখ ছিলেন তিনি৷ তাঁর এই বিশ্বস্ততার জন্যও পুরস্কৃতও হয়েছেন নানাভাবে৷ কিন্তু, সারদাকাণ্ডে জড়িয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের সামনে যে খোলাসা করেছেন তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের৷ আগে যে শুভাপ্রসন্ন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া সঙ্গী ছিলেন, এখন তাঁকে কদাচিৎ দেখা যায় কালীঘাট বা নবান্নর পা মাড়াতে৷
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় সিটের তরফে আগেই দাবি করা হয়, সারদা কর্তা লোকসান জেনেও বিপুল পরিমাণ টাকা প্রায় ৪২০ কোটি টাকা মিডিয়ায় বিনিয়োগ করেছিল৷ সেই তালিকায় ছিল দিনের আলো দেখতে না পাওয়া একটি চ্যানেল যাতে যুক্ত ছিলেন মূলত কাকের ছবি আঁকা শিল্পী শুভাপ্রসন্ন থেকে বালুরঘাটের তৃণমূলী সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, শঙ্কুদেব পন্ডাও৷
সিবিআইয়ের অভিযোগ, তাঁর ‘এখন সময়’ টিভি চ্যানেলের হোল্ডিং কোম্পানি দেবকৃপা ব্যাপার প্রাইভেট লিমিটেডকে শুভাপ্রসন্ন অনেক বেশি টাকায় ২০১১ সালে সুদীপ্ত সেনকে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকায় বেচে দিয়েছিলেন৷ সেই চ্যানেল কখনও সম্প্রচার হয়নি৷ ২০০৬ সালে দেবকৃপা তৈরি হলেও চ্যানেলের আপলিঙ্কিং অনুমতি পায় ২০১০ সালের এপ্রিলে৷ শুভাপ্রসন্ন তাঁর সপক্ষে কিছু নথি ২০১৪ সালে সিবিআইকে জমা দিয়েছিলেন৷