রাজীব তদন্ত কি ঠাণ্ডা ঘরে? কোন পথে CBI? উঠছে প্রশ্ন!

কলকাতা: সময়ের সঙ্গে ঘটনাক্রমে পিছনে সরে যায়। আইপিএস রাজীব কুমার এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে নেই। কিন্তু, খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, এই পোরখাওয়া গোয়েন্দা পুলিশের অন্তর্ধান এবং ২০দিন পর তাঁর আদালতে ফিরে আসার খবর ছিল সংবাদপত্রের ‘হটকেক’৷ আপাতত, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন৷ কিন্তু, জামিনের পরও রাজীব কুমারকে সেভাবে কেউ দেখেননি৷ এই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ,

রাজীব তদন্ত কি ঠাণ্ডা ঘরে? কোন পথে CBI? উঠছে প্রশ্ন!

কলকাতা: সময়ের সঙ্গে ঘটনাক্রমে পিছনে সরে যায়। আইপিএস রাজীব কুমার এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে নেই। কিন্তু, খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, এই পোরখাওয়া গোয়েন্দা পুলিশের অন্তর্ধান এবং ২০দিন পর তাঁর আদালতে ফিরে আসার খবর ছিল সংবাদপত্রের ‘হটকেক’৷

আপাতত, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন৷ কিন্তু, জামিনের পরও রাজীব কুমারকে সেভাবে কেউ দেখেননি৷ এই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সারদা কেলেঙ্কারির তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছেন। তিনি ওই সময়, ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমে’র নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন৷

বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামতের ঝড় বয়ে দিয়েছে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস একাধারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কাঠগড়ায় তুলেছেন। সিবিআইয়ের অফিসার’রা যখন রাজীব কুমারের বাসভবনে তল্লাশি চালাতে যান, তখন বাধাপ্রাপ্ত হন। এরপর, রাজীবকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখা যায়। সমালোচনার ঝড় ওঠে সেই ঘটনা নিয়েও।

প্রশ্ন ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারির ক্ষতিগ্রস্তদের কথা তিনি চিন্তা করেছেন কী? রাজীবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই তদন্ত করছে সিবিআই।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করার পরই রাজীব মামলার গতি হারিয়েছে। দুর্গা পুজোর আগে, সিবিআই যেমন রাজীব কুমারকে পাকড়াও করার জন্য সক্রিয়তা দেখিয়েছে, তেমন আর দেখা যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘সেটিং’ হচ্ছে। একধাপ এগিয়ে বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী চললেন মোদীর কাছে। সময়টা সন্দেহজনক। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, ওই সময় রাজীব কুমারকে খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছিল সিবিআই।

তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সব বিতর্ক উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা নিজেই বলেছেন, বকেয়া নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, রাজীব কুমার বিতর্ক ধামাচাপা পড়ছে না। ছাই চাপা আগুনের মতো ধিকি ধিকি জ্বলছে। যাঁরা বিতর্ক করতে ভালোবাসেন তাঁরা বলছেন, রাজীব কুমার খবরের কাগজ থেকে হওয়া হয়ে গেল। কিন্তু, মানুষের মনে প্রশ্ন রেখেই গেলেন এই আই পি এস অফিসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 2 =