প্রিমিয়ার ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়েই কী বেশি চিন্তিত রেল? কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন

যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন (Railway Safety) কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল। কেন কেন্দ্রীয় সরকার বারবার রেল পরিকাঠামো ঢেলে…

Railway Safety

যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন (Railway Safety)

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল। কেন কেন্দ্রীয় সরকার বারবার রেল পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য কয়েক লক্ষ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করলেও সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন উঠছে। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে কবচ ব্যবস্থা কেন গড়ে তোলা হচ্ছে না তা নিয়ে।

প্রিমিয়ার ট্রেনের ভাড়া (Premier Train Safety)

শুধু তাই নয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে ২০০-৩০০ টাকার টিকিট কেটে বহুদূর যাত্রা করা যায়। সেই জায়গায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে একই দূরত্ব যেতে ন্যূনতম ১২০০ টাকা দিতে হবে। শুধু বন্দে ভারত নয়, রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেস-সহ বহু প্রিমিয়ার ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় যাত্রীদের। সেই ট্রেনগুলিতে যে গুণমানের এলএইচবি বগি থাকে তা অন্যান্যগুলিতে থাকে না বলেই অভিযোগ।

রেল সফরে নিরাপত্তা কোথায়?

এই উন্নতমানের বগি থাকলে দুর্ঘটনার পর সেগুলি লাইনের পাশে উল্টে যায় না। স্বাভাবিকভাবেই তাতে প্রাণহানি এড়ানো যায়। তাই প্রশ্ন, কম খরচে রেল সফর করলে কী নিরাপত্তা থাকবে না? করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর ওড়িশায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, “আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন অ্যান্টিকলিশন ডিভাইস চালু করেছিলাম। কিন্তু করমন্ডল এক্সপ্রেসে সংঘর্ষ এড়ানোর যন্ত্র ছিল না। খুবই অবহেলিত রেলমন্ত্রক।” মমতা যে দাবি করেছিলেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে তো বর্তমান সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই।

যাত্রীদের উপর বাড়তি বোঝা

করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই রেলে প্রবীণদের জন্য ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে যে ডিসকাউন্ট ছিল সেটাও তুলে দিয়েছে রেল। অর্থাৎ যাত্রীদের উপর বাড়তি বোঝা চেপেছে। সেই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরে প্রিমিয়ার ট্রেনগুলিতে যাত্রী ভাড়া বহু গুণে বেড়েছে। অর্থাৎ সব দিক দিয়ে রোজগার বাড়াচ্ছে রেল। উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোব দাবি করেছিলেন তাঁরা এমন সেন্সর ব্যবস্থা চালু করেছেন যাতে ট্রেন দুর্ঘটনা হবে না। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অন্য কথাই বলছে।

সাধারণ ট্রেনগুলিতে যাত্রীরা কী প্রাণ হাতে নিয়েই রেল সফর করবেন?

রেল সুরক্ষা কথাটা যেন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাই একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা হয়, তারপর সেগুলি ধামাচাপা পরে যায়। তদন্ত হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই ধরনের বহু গালভরা প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায় রেল কর্তাদের। কিন্তু কয়েক মাস পরেই পরিস্থিতি থিতিয়ে যাওয়ার পর সবকিছুই আগের মতো চলে। তবে কী এবারেও এমনটাই ঘটবে? এরপরেও কী রেলকর্তারা যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে তৎপরতা বাড়াবেন না? সাধারণ ট্রেনগুলিতে যাত্রীরা কী প্রাণ হাতে নিয়েই রেল সফর করবেন? এর উত্তর রয়েছে সময়ের গর্ভেই।

আরও পড়ুন-

ফের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের! আদৌ অভিঘাত হবে?

ছুটছে শেয়ার বাজার, ফের খবরের শিরোনামে স্টক এক্সচেঞ্জ!

ভোট মিটতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল! প্রতিহিংসা নাকি? জল্পনা শুরু

Politics: Recent train accidents raise concerns about railway safety. Are premier trains like Kanchanjunga Express safe for passengers? Read more to find out.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *