কলকাতা: অভিমান ভেঙে আবার স্বমহিমায় ফেরার পথে রাহুল সিনহা। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হওয়ার কথা। সূত্রের যা খবর, পশ্চিমবঙ্গ পার্টির অনেকেই রাহুলের উপর খুশি নয়। রাজ্য পার্টিতে তার রাস্তায় যে বেশ কিছু কাঁটা রয়েছে তা তিনি টের পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় পার্টি তার জাতীয় সম্পাদক পদ কেড়ে নিয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা এক প্রকার দল বিরোধী বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপির একাংশ।
আরএসএস দক্ষিণবঙ্গও তার আচরণে খুশি নয়। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি গিয়েছেন রাহুল সিনহা। যা খবর, দল তাকে অভিমান ঝেড়ে ফেলে কাজ করতে বলেছে। রাহুলও কলকাতা ছাড়ার আগের বাবরি রায় নিয়ে বিবৃতি দিয়ে গিয়েছেন। ১০-১২ দিন নয়, পাক্কা ৪ দিনের মাথায় দলের হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। হৃদয় যে ভারাক্রান্ত তা বোঝাই যায়, তবে মুখে দলের কথাই বলেছেন। অমিত শাহ এবং জগৎ প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে থাকবেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রাথমিকভাবে এই বৈঠকে রাহুলের জায়গা পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু, তিনি রাজ্য বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশের বিশেষ অনুমতি নিয়েই দিল্লি গিয়েছেন। অনেকেই মনে করেছেন, তিনি নিজের পদ ফিরে পাওয়ার শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছেন। তবে, যা খবর, রাহুল কেন্দ্রীয় পার্টি থেকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ পেয়েছেন। আরএসএস ও তাঁকে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেছে। পদ না থাকলেও, দলে যে তার গুরুত্ব কমেনি, তা বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন রাজ্য থেকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক ছিলেন রাহুল সিনহা। তার আগে ছিলেন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতিকে সরিয়ে মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে ওই পদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সুতরাং, রাহুলের গোঁসা স্বাভাবিক। বিজেপির পুরান নেতাদের মধ্যে একজন রাহুল। ৪০ বছর তিনি বিজেপি করছেন। শনিবার প্রকাশ্যেই বলেছেন, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের জায়গা দিতেই এই কাজ করা হয়েছে। ১০-১২ দিনের মধ্যে তিনি যা করার করবেন। রাহুল দল ছাড়বেন কিনা বলেন নি। দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, এতদিন রাহুলের পারফরম্যান্স কী? তিনি নির্বাচনেও সফল নন।