কৃষক বিদ্রোহের আগুন জ্বলতেই অপসারিত রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

শিলিগুড়ি: এক দিকে লোকসভায় ভরাডুবি, অন্যদিকে কৃষক বিদ্রোহের আগুন৷ ভোটের পর জোড়া বিপর্যয়ের মুখোমুখি উত্তরের তৃণমূল! এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে এবার অপসারিত হলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন্ত্রী তথা কোচবিহার সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷ অন্যদিকে, সিঙ্গুর জমি আন্দোলেনর স্মৃতি ফিরল জলপাইগুড়ির গজলডোবার রাজগঞ্জে৷ সরকারি

কৃষক বিদ্রোহের আগুন জ্বলতেই অপসারিত রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

শিলিগুড়ি: এক দিকে লোকসভায় ভরাডুবি, অন্যদিকে কৃষক বিদ্রোহের আগুন৷ ভোটের পর জোড়া বিপর্যয়ের মুখোমুখি উত্তরের তৃণমূল! এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে এবার অপসারিত হলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন্ত্রী তথা কোচবিহার সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷

অন্যদিকে, সিঙ্গুর জমি আন্দোলেনর স্মৃতি ফিরল জলপাইগুড়ির গজলডোবার রাজগঞ্জে৷ সরকারি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে বাধা মিলনপল্লি এলাকার কৃষকদের৷ হেলিপ্যাডের জন্য চিহ্নিত হওয়া জমির সাইনবোর্ড খুলার চেষ্টা স্থানীয়দের৷ শাবল, কুদাল হাতে মঙ্গলবার সকাল থেকে জমি বাঁচাতে নামেন বেশ কয়েকজন কৃষক৷ পরে, পুলিশ গিয়ে কৃষকদের হুঁমিকি দিয়ে এলাকাছাড়া করা করে৷ তিন ফসলি জমির উপর কংক্রিট ফেলে হেলিপ্যাড নির্মাণের তীব্র প্রতিবাদ জানান কৃষকরা৷ আজও ফের বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷ এদিন গৌতম দেবকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷ গোব্যাক স্লোগান দেন অনিচ্ছুক কৃষকরা৷ অনেকেই মনে করছেন, একদিকে স্থানীয় কৃষকদের ক্ষোভ সামাল দিতে ব্যবর্থতা ও ভোটের খারপ ফলাফলের কারণে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে অপসারণ করা হয়েছে৷ কোচবিহারের জেলা সভাপতি হলেও তাঁর দায়িত্বে রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ৷ ফলে, উত্তরে খারাপ ফল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নতুন করে কৃষক বিদ্রের আগুন জ্বলতে থাকায় বেশ চাপে উত্তরের তৃণমূল৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাট্টার জমি কৃষকদের না জানিয়ে প্রশাসন অধিগ্রহণ করছে৷ এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের মিলনপল্লি এলাকার কৃষকরা সরকারি সাইনবোর্ড খুলতে যান৷ এলাকায় কৃষক বিদ্রোহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধস্তাধস্তি হয়৷ ঘটনাস্থলেই বসে পড়েন এক মহিলা৷ তাঁকেও উঠে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ৷ হুমকি দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ৷

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে তিনটি প্রকল্পের জন্য মিলনপল্লি এলাকার ৬০০ একর জমিতে হেলিপ্যাড তৈরির জন্য প্রকল্প চিহ্নিত করে৷ হেলিপ্যাড লাগোয়া গজলডোবায় এলাকায় তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো৷ সেখানে আমোদ প্রমোদের জন্য যাতায়াতের সুবিধার জন্য মিলনপল্লি এলাকায় তিন ফসলি জমির উপর হেলিপ্যাড গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, মুখে ৮ একর জমি নেওয়ার কথা বলা হলেও প্রায় ৫০ একর জমি ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ স্থানীয়দের প্রশ্ন, হেলিপ্যাডের জন্য এতটা জায়গা কেন প্রয়োজন? তাঁদের অভিযোগ, কৃষকদের কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করে কেন এই জমি নেওয়ার চেষ্টা? যদিও, জমিটি সরকারি সম্পত্তি বলে জানিয়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর৷ কিন্তু, ওই জমিতে যাঁরা এতদিন ফসল ফলিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন, তাঁদের কী হবে? উত্তর অধরা প্রশাসন সূত্রে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − ten =