কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, নিময় ভেঙে কেউ যদি সরোবরে ছট পুজো করতে যায়, তাহলে কী পুলিশকে গুলি চালাতে বলব? মেয়র ফিরহাদ হামিক বলেছিলেন, কালীঘাট শ্মশানে এত লোকের মৃত্যু হচ্ছে, তাঁদের সবার কি দূষণের কারণে মৃত্যু হচ্ছে? রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এহেন মন্তব্যের পর এবার রবীন্দ্র সরোবরের জলে দূষণের মাত্রা প্রকাশ করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷
পর্ষদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছটপুজোর কারণে সরোবরের জলে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি৷রিপোর্টে বলা হয়েছে, ছটপুজোর আগে রবীন্দ্র সরোবরের জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা যা ছিল, ছট পুজোর পরে তার খুব একটা তারতম্য চোখে পড়েনি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের৷ সবটাই স্বাভাবিক বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে৷
জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য বায়ো কেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড মাত্রা স্বাভাবিক বলেও জানানো হয়েছে৷ ফলে, ছট পুজোর পর দু’টি কচ্ছপ ও বেশ কিছু মাছের মৃত্যু আদতে যে দূষণের কারণে হয়নি, তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছে পর্ষদ৷
যদিও, দূষণ রোধে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো কোনও ভাবেই করা যাবে না৷ আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশের চূড়ান্ত উদাসীনতায় তা কার্যকর হয়নি৷ ছটপূর্ণার্থীদের একাংশের তাণ্ডব, গেট ভাঙচুর, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ব্যানার ছিড়ে ফেলে দেওয়া-সহ দিনভর তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলা৷ শুরু হয় রাজনীতি৷ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই রিপোর্ট ঘিরে পরিবেশর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ৷