কলকাতা: না, স্বীকৃতি এখনও জোটেনি৷ কবে জুটবে, তাও অধরা৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংবাদ উপস্থাপনার মাধ্যম পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে৷ সংবাদপত্র, টিভি চ্যালেনগুলিকে টেক্কা দিয়ে ঝড়ের গতিতে এগিয়েছে চলেছে দেশের হাজার-হাজার নিউজ পোর্টাল৷ বাংলাতেও নিউজ পোর্টালের বিপ্লব শুরু হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির হাত ধরে৷ কিন্তু, সময় এগিয়ে চললেও রাজ্যে এখনও সরকারি স্বীকৃতি অধরা৷ বঞ্চনার বেড়াজালে বাংলার প্রথম শ্রেণির বেশি কিছু নিউজ পোর্টাল৷ আজ বিকেল ডট কম-ও সেই বঞ্চনার সামিল৷
কলকাতা প্রেস ক্লাবের ৭৫ বছর বর্ষপূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে একবারও এল না ‘নিউজ পোর্টাল’ স্বীকৃতি! তবে, তিনিও যে মোবাইলের উপর বেশ নির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বটে৷ কিন্তু, সেই মোবাইলের মাধ্যমে পাওয়া সংবাদ মাধ্যমগুলির সরকারি স্বীকৃতি নিয়ে কোনও আশার আলোই দেখাতে পারলেন না৷ বলা ভাল, সেই কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সম্ভবত পৌঁছে দেওয়া গেল না৷
বঞ্চনা আছে৷ কলকাতা প্রেস ক্লাব নিউজ পোর্টালগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া তো দূর, ‘নিউজ পোর্টালে’র সংবাদ কর্মীদের মর্যাদাও দিতে নারাজ৷ কেন? উত্তরটা অজানা৷ ‘নিউজ পোর্টালে’র সাংবাদিকদের সরকারি সুবিধা তো দূর, কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের কাছে পৌঁছতে পারে না সাংবাদিকদের সরকারি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড না থাকায়৷
অন্যান্য রাজ্যে নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের সরকারের তরফে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও দেওয়া হয়নি৷ মাত্র কয়েক বছরে ডিজিটাল মিডিয়া যেভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ও জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে রাস্তায় হাঁটতে চলতে সংবাদ পাঠের অন্যতম ভরসার নাম এই নিউজ পোর্টাল৷ যদিও ডিজিটাল ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের সরকারি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার দাবি ইতিমধ্যেও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় উঠেছে৷ তার পরও আজ, ৭৫ বছরের প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে স্থান পেল না ‘নিউজ পোর্টাল’ স্বীকৃতি৷
আজ, প্রেস ক্লাবের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ চিত্র সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়েও আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ যাতে তারাও সরকারি সুবিধাগুলি পান৷ এমনকী, প্রেস ক্লাবের জন্য স্থায়ী দপ্তর নির্মাণেও বড়সড় আস্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েও ডিজিটাল মিডিয়াগুলির ভবিষ্যত থেকে গেল সেই তিমিরেই৷