Aajbikel

২০০ আসন না পেলে ইস্তফা দেওয়ার ক্ষমতা আছে তো? বিজেপিকে একহাত প্রশান্তের

আপাতত প্রশান্ত কিশোর এবং বিজেপি সম্মুখ সমরে।
 | 
২০০ আসন না পেলে ইস্তফা দেওয়ার ক্ষমতা আছে তো? বিজেপিকে একহাত প্রশান্তের
 

কলকাতা: একেবারে যাকে বলে ওপেন চ্যালেঞ্জ। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাপ শীর্ষে পৌঁছেছে। এই আবহে ভারতীয় জনতা পার্টিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি তিনি টুইট করে স্পষ্ট দাবি করেছিলেন, বাংলায় বিজেপি দুই অঙ্কের বেশি আসন পাবে না। যদি পেয়ে যায় তাহলে তিনি নিজের কাজ ছেড়ে দেবেন। সেই নিয়ে তাকে পাল্টা আক্রমণ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে এবার কার্যত ওপেন চ্যালেঞ্জ করলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দিয়ে চুল কংগ্রেসের ভোট কুশলী বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে জানতে চাইলেন, ২০০ আসুন না পেলে তারা নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কিনা! এখন আপাতত প্রশান্ত কিশোর এবং বিজেপি সম্মুখ সমরে।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কোনভাবেই তিন অঙ্কে পৌঁছাবে না। এমনকি দুই অংক শুরুতেই কষ্ট করতে হবে তাদের। এই প্রেক্ষিতে প্রশান্ত সরাসরি বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন তুলে জিজ্ঞেস করেন, তাঁর কথামতো যদি না হয় তাহলে তিনি তো কাজ ছাড়বেন, কিন্তু যদি বিজেপি দুই অংক টপকাতে না পারে তাহলে নেতারা নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারবেন তো? জনসমক্ষে বিজেপি নেতাদের এমন দাবি করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলীর দাবির প্রেক্ষিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁকে কটাক্ষ করে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য। এদিন আবার বাংলার রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাজনীতির পিকে। 

বিগত কয়েক সপ্তাহে একাধিক ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলবদল এর আবহে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা এবং বিধায়ক। সবমিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একেবারে ব্যাকফুটে রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার হবে সে ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে। সব মিলিয়ে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে আরো বেশি উত্তেজক এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে গেল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এবার আদতে প্রশান্ত কিশোরের দাবি মেলে নাকি সত্যিই তাঁকে কাজ ছেড়ে দিতে হয় তা জানতে আরও কয়েক মাসের অপেক্ষা করতেই হবে রাজ্যবাসীকে।

Around The Web

Trending News

You May like