ন্যাজাট হত্যাকাণ্ডে মৃতদেহ ঘিরেও পুলিশ-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ

কলকাতা: সন্দেশখালির ন্যাজাটে রাজনৈতিক সংঘর্ষে খুন হওয়া ৩ বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে কলকাতায় আসার পর পুলিশ-বিজেপি কর্মীর খণ্ডযুদ্ধ৷ ধস্তাধস্তি৷ মালঞ্চ মোড়ে বিজেপি কর্মীদের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসাতে বাধা দেয় পুলিশ৷ পলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি৷ ধস্তাধস্তির জেরে ভেঙে যায় পুলিশের ব্যারিকের্ড৷ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির প্রতিনিধি দল৷ একাধিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না দেওয়া

f9c7458771bb51f669d237755f1593f4

ন্যাজাট হত্যাকাণ্ডে মৃতদেহ ঘিরেও পুলিশ-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ

কলকাতা: সন্দেশখালির ন্যাজাটে রাজনৈতিক সংঘর্ষে খুন হওয়া ৩ বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে কলকাতায় আসার পর পুলিশ-বিজেপি কর্মীর খণ্ডযুদ্ধ৷ ধস্তাধস্তি৷ মালঞ্চ মোড়ে বিজেপি কর্মীদের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসাতে বাধা দেয় পুলিশ৷ পলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি৷ ধস্তাধস্তির জেরে ভেঙে যায় পুলিশের ব্যারিকের্ড৷ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির প্রতিনিধি দল৷

ন্যাজাট হত্যাকাণ্ডে মৃতদেহ ঘিরেও পুলিশ-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধএকাধিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না দেওয়া মেট্রো চ্যানেলে এই দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি বিজেপির৷ তবে, মেট্রো চ্যানেলে এই মুহূর্তে ১৪৪ ধারা জারি রেয়েছে৷ শহর কলকাতায় ঢোকার বহু দূরেই শববাহী গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ৷ পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও ভাবেই মৃতদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না৷ পুলিশ দেহ গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়৷ বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়, মৃতদের পরিবার চাইছেন মরদেহ কলকাতায় দাহ করতে৷ কিন্তু, কেন মৃত পরিবারের ইচ্ছা পূরণ করানো হচ্ছে না? এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহা সরাসরি পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে বিজেপি পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেখানে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ রিপোর্টে ২০১৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত খুন হওয়া ৬২ জন বিজেপি কর্মীর বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর৷

শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার ভাঙিপাড়া গ্রাম৷ উভয় পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, তাদের তিন জন কর্মী মারা গিয়েছেন৷ নিখোঁজ দুই৷ অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন৷ তাঁকে গুলি করার পর কুপিয়ে খুন করা হয়েছে৷ জখম বহু৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলে ব্যাপক সংঘর্ষ৷ বোমা ও গুলির আঘাতে বেশ কয়েকজন জখম হন৷ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে উঠলেও গ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারেনি৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ সংঘর্ষ থামাতে আশপাশের জেলা থেকেও প্রচুর পুলিশ আনা হয়৷ আজও মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী৷

শনিবার জামাই ষষ্ঠীর উৎসবের আনন্দ মাটি করে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ রাজ্যজুড়ে একের পর এক অশান্তি, হিংসা বাড়তে থাকায় বাড়ছে উদ্বেগ৷ আতঙ্কিত বাসিন্দাদের একটাই প্রশ্ন, আর কত মৃত্যুর পর শান্ত হবে বাংলা? শান্ত বাংলায় কেন এত অশান্তি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *