কলকাতা: বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙচুর কাণ্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের পরই নতুন করে ধরপাকড় শুরু করল পুলিশ৷ বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় আজ, বৃহস্পতিবার উল্টোডাঙা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ৷ ধৃতের নাম তপন দাস৷ সিসিটিভি ফুটেজে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে৷
বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙচুর কাণ্ডে গত সপ্তাহে সরকারি ভাবে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য৷ নির্বাচন কমিশনের আচারণ বিধি চালু থাকায় এতদিন কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি রাজ্য সরকার৷ আচারণবিধি উঠে যেতেই বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙচুর কাণ্ডে তদন্ত কমিটি গড়ে রাজ্য৷
নবান্ন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা, জাভেদ শামীম ও বিদ্যাসাগর কলেজের প্রিন্সিপাল৷
শেষ দফার নির্বাচনের আগে অমিত শাহর রোড শো চলাকালীন বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তাল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। দুটি রাজনৈতিক দলের টানাপোড়েনে ইতিমধ্যেই উত্তেজিত গোটা সুশীল সমাজ৷
বিজেপির দাবি তৃণমূলের গুন্ডারা ভেঙেছে মূর্তি, অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র ছেলেরাই এই গর্হিত অপরাধ করেছে। এদিন উত্তরপ্রদেশের জনসমাবেশ থেকে মোদির অভিযোগ, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূলের লোকজন। এই অভিযোগে ক্ষিপ্ত মমতার বক্তব্য, ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে এসে মূর্তি ভাঙা নিয়ে একটি কথাও বলেননি, আর উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কিনা তিনি তৃণমূলের নাম দোষ দিয়ে দায় এড়াচ্ছেন। তিনি মিথ্যাচার করছেন, তাই তাঁকে ১ লক্ষ বার কান ধরে ওঠবোস করা উচিত।
এই ডামাডোলের মধ্যেই বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় সিট গঠন করে লালবাজার। ডিসি নর্থের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৫ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। দোষীদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে৷