আজ বিকেল: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। রাত পোহালেই প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে।আগামীকাল ১৮টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯১টি আসনে ভওট হতে চলেছে। সেই সঙ্গে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও সিকিমে বিধানসভা ভোটও অনুষ্ঠিত হবে। তাই শেষবেলার ভোট প্রচারে কোনওরকম কার্পণ্য করেনি রাজনৈতিক দলগুলি। ওড়িশায় বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একইসঙ্গে হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশেও তাই। মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলগুদেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগেছেন গত কয়েকদিন। অমরাবতীকে রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া থেকে শুরু করে অনেকগুলি বিষয় এবার রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের হাতিয়ার হতে চলেছে। চুপ করে বসে নেই জগমোহন রেড্ডির পরিবার। ক্ষমতা ফিরে পেতে রাজ্যবাসীর কাছে ভোটের আকাঙ্খা জানিয়েছেন তিনি। তবে জগমোহন ও হায়দরাবাদের মুখ্য়মন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে এই বিষয়ে একহাত নিতে ভোলেননি চন্দ্রবাবু নায়ডু। এককথায় প্রথম দফার ভোটযুদ্ধকে কেন্দ্র করে জমজমাট দাক্ষিণাত্য।
অন্যদিকে হায়দরাবাদে ওয়েইসি তাঁর চারবারের জেতা কেন্দ্র থেকে এবারেও লড়ছেন। নিজামাবাদ কেন্দ্রে যেখানে রুলিং পার্টির তরফে ক্যান্ডিডেট হলেন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতা, আর তাঁর অপোজিশনে রয়েছেন ১৭০জন কৃষক। ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এই ঘটনা একেবারেই নতুন। উত্তরপ্রদেশে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে সাহারানপুর, কৈরানা, মুজফ্ফরপুর সহ সবকটি আসনে জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। এবার এই আসনগুলিতেই তব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে চলেছে বিজেপি। একযোগে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোক জনতা দল বিজেপির বিরোধিতায় নেমেছে।
একইভাবে বৃহস্পতিবার, উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে। প্রতিটি আসনে বিগত নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। এরাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে ধাক্কা দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। তেহরি থেকে প্রীতম সিং, নৈনিতাল থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত এবং মণীশ খাণ্ডুরিকে পাউরি থেকে টিকিট দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। অসমের জোরহাট, লখিমপুর, ডিব্রুগড়, তেজপুর ও কালিয়াবরেও বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে. তালিকায় রয়েছে ওড়িশার ১৮টি বিধানসভা চারটি লোকসভা কেন্দ্র, এরমধ্যে বেশ কয়েকটি মাও উপদ্রুত অঞ্চল। এমনিতেই ২০১৯ লোকসভা ভোট বেশ হাইভোল্টেজ, বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে বিরোধীরা জোট সরকারের ডাক দিয়েছে। এখন দেখার জনসমর্থনে রায় কার দিকে যায়।