ভোপাল: ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে করে আসছে কংগ্রেস। তা সে কর্ণাটক হোক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, একাধিক রাজ্যের বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা। কয়েক মাস আগেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের মহাপতন ঘটে। সেখানেও এই ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেছিলেন, একাধিক কংগ্রেস বিধায়কদের অর্থের লোভ দেখিয়ে চলেছে বিজেপি। এখন কার্যত একথাই স্বীকার করে নিলেন বিজেপির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বরং তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন, মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
মধ্যপ্রদেশ দলের একটি সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বলতে শোনা গেছে, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার ফেলতে যদি কেউ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! মুহুর্তের মধ্যে কৈলাসের ওই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও টিপে কৈলাশকে বলতে শোনা গেছে, তিনি আজ এমন কথা বলছেন, যেটা তিনি এর আগে কখনো বলেননি। তার কিছুক্ষণ পরেই বিজেপির পর্যবেক্ষক দাবি করেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার পতনের পেছনে অন্যতম বড় ভূমিকা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দলের কর্মীদের নিয়ে যে সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই বক্তব্য পেশ করেছেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। যদিও এই ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই এখনো পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি।
তবে সত্যতা যাচাইয়ের আগেই ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই ভিডিও ক্লিপ এর ভিত্তিতে বিজেপি কে আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই ট্রিপে বিজেপির পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা জানার পরে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসাংবিধানিক কাজ করেছেন কোনও একটি রাজ্যের সরকার ফেলতে। এতদিন ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হতো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। কিন্তু এখন একটা বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিষ্কার, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে সকলের নজর ঘোরানোর জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। এদিকে নিজেদের মত ঘোড়া কেনাবেচার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রদেশের সাংবিধানিক সরকারকে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে।এখন পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে গেল কিভাবে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটেছে এবং তার পেছনে দায়ী কে। উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহের ডামাডোলের মধ্যেই কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে আরো ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের সরকারের রাস নিজেদের হাতে ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস।