কলকাতা: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র উত্থান রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল, এমনই কানাঘুষো শোনা যায় রাজনৈতিক মহলে। '৪২-এ ৪১' তো দূরের কথা, মেরেকেটে ২২ জুটেছিল তৃণমূলের। নির্বাচনের অঙ্কে রাজ্য সরকারের এহেন অবনমন রুখতেই রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হয়েছিল মমতার দল। আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ২ মার্চ আনুষ্ঠানিক সূচনা হল পিকে-র বাউন্সার 'বাংলার গর্ব মমতা'-র। হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁকে এদিন দেখাও গেল একবারে সামনের সারিতে।
লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের একের পর এক পদক্ষেপের নেপথ্যে আছেন প্রশান্ত কিশোরই, এমনই মনে করেন রাজ্যবাসীর একাংশ। 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়েও একই মন্তব্য তাঁদের। এই কর্মসূচি বিশেষ প্রভাবও ফেলেছে বলেই মনে করছেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে তিনি যে নয়া কিছু 'মাস্টারস্ট্রোক' দেবেন, এই কথা বিশ্বাস করেন তাঁরা। এরই মধ্যে ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হল জনসংযোগ কর্মসূচি 'বাংলার গর্ব মমতা'-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান। সেখানেই প্রথম সারিতে 'নিজের ছন্দে' দেখা গেছে ভোটগুরু পিকে-কে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এদিনের এই অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ পরিকল্পনাই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত। এমনকী, আগামী দীর্ঘ কর্মসূচির পরিকল্পনাও। সেই কারণেই দর্শকাসনের সামনের সারিতে বসে মেপে দেখছিলেন তিনি, এমনই মনে করছেন অনেকে। শুধু অনুষ্ঠানে দর্শকাসনেই নন। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পিকে বৈঠকও করেছেন বিধায়কদের সঙ্গে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। টানা ৭৫ দিনের 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচি তৃণমূলের পালে আদৌ হাওয়া জোটাতে পারবে কি না, তা সময় বলবে। তবে পিকে-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতৃত্বও। এমনকী, রাজ্যসভায় যে তৃণমূলের প্রার্থীও হতে পারেন ভোটগুরু পিকে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।