ব্যারাকপুর: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না তিনি। আজ তাঁর ‘মানভঞ্জন’ করতে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধিদল দেখা করতে যান শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে। যদিও তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরেও নিজের অবস্থানে অনড় ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটে তিনি লড়বেন না।
এদিন শীলভদ্র দত্ত জানান, পিকের দল তাঁর কাছে জানতে এসেছিল যে কি হয়েছে। তবে তিনি জনগণের সামনে যা বলেছিলেন, সেটাই তাদের জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দেন, নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এখানেই থেমে থাকেননি শীলভদ্র দত্ত। তিনি আরো স্পষ্ট করে বলেন, পিকের টিমের কাজ তার একেবারেই পছন্দ নয়, তারা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন এ ব্যাপারেও অখুশি তিনি। শীলভদ্রের কথায়, প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধি দল না এসে যদি কোনো রাজনৈতিক নেতারা আসতো তাহলে অনেক ভালো হত। তবে তৃণমূল কংগ্রেস দলে থাকা প্রসঙ্গে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। জানান, দলে থাকলেই মানুষের পাশে থাকা যায় এরকম কোন মানে নেই। তিনি যতদিন বাঁচবেন ব্যারাকপুরের মানুষের পাশে থাকবেন বলে দাবি করেছেন শীলভদ্র দত্ত। এক কথায় বলা যায়, আজ প্রশান্ত কিশোরের দল এসেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকের মানভঞ্জন করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যেন অস্বস্তি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। যদিও তার আগেই ব্যারাকপুর এর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে চান না। এরপরেই বিতর্ক সৃষ্টি হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। শীলভদ্র দত্তের একাধিক কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছিল, তিনি প্রশান্ত কিশোরের টিমকে একেবারেই পছন্দ করছেন না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হয়তো শীলভদ্র দত্তের তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার অন্যতম নয় একমাত্র কারণ পিকে।