অবাঙালিদের সরিয়ে বাঙালি পার্টি প্রমাণে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি

অবাঙালিদের সরিয়ে বাঙালি পার্টি প্রমাণে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি

কলকাতা: লক্ষ্য ২১-এর নির্বাচন৷ আর সেই লক্ষ্যে ‘বদলা’ ও ‘বদলে’র জয়গান গাইতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির৷ ‘বদল-বদলা’র পাশাপাশি এবার বাঙালিদের ‘পার্টি’ প্রমাণে মরিয়া চেষ্টা শুরু করল বঙ্গ বিজেপি শিবির৷ বাংলার রাজনৈতিক পরিসর বাড়াতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন এই কৌশল?

বাংলার রাজনীতির ময়দানে শোনা যায়, বিজেপি আদতে হিন্দি বলয়ের পার্টি৷ বাঙালিদের সেখানে গুরুত্ব কম! অবাঙালি পার্টি বলেও আখ্যায়িত করেছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি৷ আর তার জেরে খেসারত দিতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে৷ কিন্তু, লক্ষ্য যে অদূরে৷ ২১-এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাঙালির মনজয়ে নয়া কৌশল নিয়েছে গুরুয়া শিবির৷

সালটা ২০১৪৷ বাংলায় গেরুয়া ঝড় সেই শুরু৷ বঙ্গ বিজেপির পালেও লেগেছিল ভোটের হাওয়া৷ শেষ লোকসভা ও উপনির্বাচন, দলবদলের হাত ধরে সংসদ ও বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা একলাফে বেশ খানিকটা বাড়িয়ে ফেলেছে বিজেপি৷ ২০১৯-এর ভোটে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ১৮টি আসন৷ ফলে, ভোটের অনুকূল হাওয়া উপলব্ধি করে পার্টিতে বেশি করে বাঙালি মুখ এনে অবাঙালিদের বাদ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির৷

ইতিমধ্যেই সদ্যগঠিত রাজ্য কমিটি থেকেও তিনজন অবাঙালি পদাধিকারীকে বাদ‌ের খাতায় ফেলেছে বঙ্গ গুরুয়া শিবির৷ স্থান পাননি রাজকুমারী কেশরী, মনোজ টিগ্গা ও বিজয় ওঝারা৷ তুলে আনা হয়েছে বেশ কিছু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা৷ কৌশল বদল করতে গিয়ে গেরুয়া রাজনীতি যেখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেই কলকাতা সাংগঠনিক জেলাতেও আগে অবাঙালিদের প্রাধান্য কমানো হয়েছে৷ বিজেপির দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার দুই অবাঙালিকে সরিয়ে  সভাপতি পদে বাঙালি মুখ আনা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে উঁচু থেকে নিচুতলার নেতৃত্বে বাঙালিদের প্রাধান্য দিচ্ছে বিজেপি৷

তবে, বিজেপির বাঙালিআয়ানার সূত্রপাত বহু আগেই ঘটে গিয়েছিল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভাষণে বারবার বাঙালি আবেগকে উসকে দেওয়ার কাজ চলেছে৷ বাংলাও নাকি শিখছেন অমিত শাহ৷ আর পুরোনা ব্যবস্থা বদলে বাংলার ঘাসফুলের উর্বর মাটিতে পদ্ম চাষে মরিয়া ঘোষবাবুরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *