দেবময় ঘোষ: রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করেছে৷ বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক পরিবর্তন করেছে৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের একনিষ্ঠ প্রচারক বিজেপির নতুন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসাবে অমিতাভ চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করলেন৷ সরে গেলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়৷ রাজ্য বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলান৷
দলের নীতি নির্বাচন এমনকি উপযুক্ত প্রার্থী চয়ন করে দিল্লিতে নাম প্রস্তাব করার মত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তার থাকে। প্রথাগতভাবে এই পদ সঙ্ঘের হাতেই থাকে। সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ও সঙ্ঘের প্রচারক হয়েই রাজ্য বিজেপিতে এই পদে কাজ করতে এসেছিলেন। ব্যতিক্রম নন অমিতাভ। তিনি কিছুদিন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। পার্টির অন্দরে যা খবর, অমিতাভ এই পদে আসায় স্বস্তি দিলীপ ঘোষ শিবিরের। বিগত দিনে সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বারবার দিলীপ শিবিরের পাশে দাঁড়িয়ে মুকুল রায়কে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন। দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে যখন, তৃণমূল থেকে লোক আনায় রাশ টানেন সুব্রত। রাজ্য পার্টিকে না জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পার্টিতে যোগদান করান যাবে না – সাফ জানিয়ে দেন সুব্রত। ভালোভাবে নেয়নি মুকুল। এরপর বিভিন্নস্তরে মুকুল শিবিরের সঙ্গে দিলীপ শিবিরের সংঘাত বেঁধেছে। দিলীপ শিবিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুব্রত। তার উত্তরসূরি অমিতাভ একই কাজ করবেন তা আশা করা যায়।
ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই বলছেন, মুকুল রায়ের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হওয়া কিংবা নতুন রাজ্য কমিটি এবং মোর্চায় মুকুল রায়ের ঘনিষ্ট ব্যাক্তিদের জায়গা পাওয়াতে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র ভূমিকা রয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রধান পর্যবেক্ষক। মুকুল রায়কে ভরসা করেন। কেন্দ্রীয় দল তার কথা মেনে নিয়েছে। এই বিষয়টি যেমন একদিকে সত্যি, তেমন এটিও সত্যি যে, অমিতাভ চক্রবর্তীর আগমনে কিছুটা হতদ্যম মুকুল শিবির। সর্বভারতীয় সহসভাপতি হিসাবে মুকুলের দাবি বারবার রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রতিহত হতে পারে।