মেট্রো চ্যানেলে ধরনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির

কলকাতা : এবার মেট্রো চ্যানেলে ধরনার আর্জি রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। কয়েকদিন আগেই সেখানে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই থেকেই সূত্রপাত নতুন রাজনৈতিক চাপানোতরের। রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার ঘটনার প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেখানেই ধরনায় বসতে চাইছেন অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই যুব কংগ্রেসের আবেদন নাকচ করেছে লালবাজার। এবার অনুমতি

মেট্রো চ্যানেলে ধরনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির

কলকাতা : এবার মেট্রো চ্যানেলে ধরনার আর্জি রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। কয়েকদিন আগেই সেখানে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই থেকেই সূত্রপাত নতুন রাজনৈতিক চাপানোতরের। রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার ঘটনার প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেখানেই ধরনায় বসতে চাইছেন অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই যুব কংগ্রেসের আবেদন নাকচ করেছে লালবাজার। এবার অনুমতি চাইল রাজ্য বিজেপি। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ তারিখ ধরনায় বসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে তারা। সোমবার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিস ও পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়। যদিও অনুমতি না মেলে তবে আদালতেও যেতে পারে বিজেপি। এর আগে ভিক্টোরিয়া হাউসে জনসভা করা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। তবেই মিলেছিল সভা করার ছাড়পত্র। এবারেও কি তেমন কিছু হবে? ঘোরাফেরা করছে প্রশ্ন। যদিও লালবাজার তাদেরকেও অনুমতি দেবে না বলেই একপ্রকার নিশ্চিত রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুমতি যে নাও মিলতে পারে তা আগেই আঁচ করতে পেরেছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অপব্যবহার ও চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেট্রো চ্যানেলে ধরনা কর্মসূচিতে বসতে চেয়েছিল যুব কংগ্রেস। অনুমতি চেয়ে লালবাজারের কাছে আবেদন করেন তাঁরা। রাস্তা আটকে কর্মসূচি পালন করা হবে না বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন তাঁরা৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও যুব কংগ্রেসের আবেদন গ্রাহ্য করেনি লালবাজার। এর প্রতিবাদে সোমবার পথে নামে কংগ্রেস। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তীব্র ধিক্কার জানানো হয় কংগ্রেসের তরফে।
শুধু কংগ্রেস বা বিজেপিই নয়, শিলিগুড়ির মেয়র তথা বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যও কিছুদিন আগেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসার হুমকি দিয়েছিলেন । তাঁর দাবি, তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার শিলিগুড়ি পুরসভাকে নায্য প্রাপ্য দিচ্ছে না। বাম নেতার দাবি, তিনিও সংবিধান-সংকটের মুখোমুখি হয়েই এই ধরনায় বসতে চান। শাসক দল যদি মেট্রো চ্যানেলে ধরনার অনুমতি পায়, তবে বিরোধীরা কেন নয়? এই প্রশ্নেই এবার এককাট্টা সকলে। শেষমেষ কোনও রাজনৈতিক দল অনুমতি পায় কিনা, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + nineteen =